সিরাজগঞ্জ-১ ও ঢাকা-১৮ দুই শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা এবং ঢাকা-১৮ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর।
শুক্রবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামী ১২ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ-১ ও ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ দুটি আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৩ অক্টোবর, যাচাই-বাছাই ১৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২২ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ ১২ নভেম্বর। দুটি আসনের উপনির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট হবে বলে সচিব জানান।
গত ৯ জুলাই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ আসনটি শূন্য হয়। অন্যদিকে গত ১৩ জুন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিমের মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য হয়।
আরো পড়ুন : শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় জনতা-পুলিশ একসঙ্গে কাজ করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী নির্ধারণে সাক্ষাৎকার চলাকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তখন জানায়, এস এম জাহাঙ্গীর ও যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কফিলউদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে বিএনপি সমর্থিত আট কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন না দিতে দলের হাইকমান্ডের কাছে লিখিত আবেদন জানান।
সেই জাহাঙ্গীরকেই ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি বা আওয়ামী লীগের মতো বড় দলে নমিনেশন নিয়ে এসব ঝামেলা হয়। এটা আওয়ামী লীগেও হয়। অপরদিকে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ওই আসনটি আমাদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের। কারণ এটি আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম সাহেবের আসন, এবার সেখানে তার ছেলে নির্বাচন করছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা। এবার তিনি ব্যক্তিগত কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আর আমরা মনে করি, সেলিম রেজা অনেক শক্তিশালী প্রার্থী।