তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সন্ত্রাসীদের মতো: মির্জা ফখরুল

image-709955-1692783798

আওয়ামী লীগ নেতারা শিষ্ঠাচার জানেন না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাকে নিয়ে বলা হয়েছে, আমার মতো নাকি বড় মিথ্যাবাদী নেই! আমি নাম ধরে কিছু বলতে চাই না। এটি শিষ্টাচার নয়। অবশ্য আওয়ামী লীগ শিষ্টাচারের দল নয়। এরা সন্ত্রাসী দল। এদের সবাই উগ্র। এদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সন্ত্রাসীদের মতো। আজকে আওয়ামী লীগ গালিতে পরিণত হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নাগরিক সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা শীর্ষক’ আলোচনা সভার আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ।

মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যখন এই দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছেন, গান পাউডার দিয়ে ১১ জন পুড়িয়ে মেরেছেন, তখন কোথায় ছিল সংবিধান?

ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের তো পুরোটাই মিথ্যার ওপর, সব কিছু আওয়ামী লীগের মিথ্যার ওপর তৈরি করা। তাদের মন্ত্রীরা যা নির্দেশ দেয় তাই প্রকাশ করা হয়, এখানে এত উৎপাদন হয়েছে, দেখি সেটাই দেখানো হয়।

আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতির দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এমন কিছু নেই, যেখানে আওয়ামী লীগ হাত দেয় নাই। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ, ব্যাংক খালি ও লুটপাট করে জাতিকে পুরোপুরিভাবে দুর্নীতিপরায়ণ জাতি হিসেবে পরিণত করছে। সরকারের সব কর্মকাণ্ডই দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে। আজ এক ব্যক্তির কারণে সংবিধান কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আজকে তারা সমাজকে নষ্ট করে ফেলেছে।

গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম, এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপি চেয়ারম্যান কারি আবু তাহের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম, আবু হানিফ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।

Pin It