তাপমাত্রা কমতে পারে সোমবার সন্ধ্যা থেকে

KAJ_7155-5cd6fa01a1d45

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপে তেতে উঠেছে দেশ। তাপদাহে অতীষ্ঠ জনজীবন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বত্র যেন বইছে লু হাওয়া। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ অবস্থা রোববার ও সোমবার অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাতও হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোর ও রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নেত্রকোনায় ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন সমকালকে বলেন, শনিবার দেশের কয়েকটি স্থানে স্বল্প পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। ১৩ মে বিকেল থেকে রাজধানীসহ দেশের যেসব এলাকায় তাপমাত্রা বেশি আছে, সেসব স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ওইসব এলাকায় তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, প্রতিবছরই মে মাসে সাগরে দু-একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়। এবারও তেমন সম্ভাবনা রয়েছে। একটি লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে সে সম্ভাবনা বলার এখনো সুনির্দিষ্ট পর্যায় তৈরি হয়নি।

আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ছিল ২৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে ছিল ৩৮ দশমিক ২, সর্বনিম্ন ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনায় সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৮, সর্বনিম্ন ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে ছিল ৩৮ দশমিক ২ ও সর্বনিম্ন ছিল ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৭, সিলেটে ৩৫ দশমিক ৬, ময়মনসিংহে ৩৪ দশমিক ২, কুমিল্লায় ৩৪ দশমিক ৫, বরিশালে ৩৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়।

কয়েক দিন ধরে ঢাকাসহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে গরমে হাসফাঁস করছেন নগরবাসী। ঢাকা শহরে অত্যাধিক যানবাহনের চাপ, কলকারখানা, ঘনবসতি ও গাছপালার অভাবে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ অনুভূত হয়। প্রচণ্ড গরমে বিশেষ করে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

Pin It