হৃদযন্ত্রের জন্য তামাক নির্ভর সিগারেটের চাইতেও বেশি ক্ষতিকর ই-সিগারেটস।
লস অ্যাঞ্জেলেসের স্মিড হার্ট ইন্সটিটিউট’য়ের গবেষকরা ১৮ থেকে ৩৮ বছর বয়সি স্বাস্থ্যবান ধূমপায়ী যারা ই-সিগারেটস বা তামাক নির্ভর সিগারেট পান করেন তাদের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই ফলাফল পেয়েছেন।
বৈদ্যুতিক পন্থায় নিকোটিন গ্রহণের মাধ্যম যেমন ই-সিগারেটস হৃদযন্ত্রের জন্য প্রচলিত তামাক নির্ভর সিগারেটের চাইতেও বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।
স্মিড হার্ট ইন্সটিটিউট’য়ের গবেষক ও ‘পাবলিক হেল্থ রিসার্চ’য়ের পরিচালক সুসান চেং বলেন, “আমাদের গবেষণার ফলাফল জানাচ্ছে যে, হৃদসংক্রান্ত জটিলতা তৈরি ক্ষেত্রে ই-সিগারেটস এবং ভ্যাপিংয়ের সম্পর্ক রয়েছে। আর এসব পণ্য বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে যা বলা হয় সেগুলোর বিপরীত।”
‘ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেইশন’য়ের এই বছর করা একটি জরিপে দেখা গেছে ২৭.৫ শতংশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ই-সিগারেটস ব্যবহার করে। যেখানে ২০১৮ সালে ছিল ২০.৮ শতাংশ।
গবেষকরা অংশগ্রহণকারী ১৮ থেকে ৩৮ বছর বয়সি যারা দৈনিক ই-সিগারেটস বা তামাক নির্ভর সিগারেট পান করেন তাদের ই-সিগারেটস বা তামাক নির্ভর সিগারেট পান করার পর হৃদযন্ত্রের পেশিতে রক্ত সঞ্চালন, হৃদসংক্রান্ত কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ করেন।
পাশাপাশি বিশ্রামের পর তাদের হাতের ব্যায়াম করতে দেওয়া হয় যা শরীরবৃত্তিয় চাপ বাড়াতে কার্যকর।
দেখা গেছে যারা তামাক নির্ভর সিগারেট পান করেছেন তাদের রক্ত সঞ্চালন সংযতভাবে বাড়ছে এবং পরবর্তী চাপে কমছে।
অপরদিকে যারা ই-সিগারেটস ব্যবহার করছেন তাদের রক্তসঞ্চালন বিশ্রামে থাকা এবং হাতের ব্যায়ামের পরেও কমে যাচ্ছে।
গবেষক ক্রিস্টিন অ্যালবার্ট বলেন, “ধূমপানের কারণে হার্ট অ্যাটাক ও মৃত্যু ঝুঁকির কথা আমরা সবাই জানি। তবে এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ই-সিগারেটও একই বা বেশি মাত্রায় ক্ষতিকর।”
অ্যালবার্ট সাবধান করতে গিয়ে পরামর্শ দেন যে, ই-সিগারেটে হয়ত অদৃশ্য ক্ষতিও করছে।
এই গবেষণার জ্যেষ্ঠ গবেষক ফ্লোরিয়ান রাডির বলেন, “আমাদেরটাসহ অন্যান্য সবার গবেষণায় থেকে বলা যায়, আরও তথ্য না পাওয়ার আগ পর্যন্ত বৈদ্যুতিক পন্থায় নিকোটিন গ্রহণের ক্ষেত্রে সবাইকে অতি মাত্রায় সাবধান হতে হবে।”
‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সায়েন্টিফিক সেশন ২০১৯’য়ে এই গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।