মেহেদি মিরাজ আগেও ওপেন করেছেন। খেলেছেন টপ অর্ডারে। কিন্তু সেগুলো ঠেকায় পড়ে। দলের বিপদে কিংবা কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খুলনা পরিকল্পনা করেই ওপেন করাচ্ছে মেহেদি হাসান মিরাজকে। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও শনিবার সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে বাজিমাত করলেন মিরাজ। খেললেন ৬২ বলে ম্যাচ জয়ী ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তিনি দারুণ এই ইনিংস খেলে এবারের বিপিএলে তামিম-ইমরুল কিংবা লিটন-মিঠুনদের ব্যক্তিগত ইনিংসকে ছাড়িয়ে গেছেন।
প্রথমে ব্যাট করে সিলেট ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তোলে। উইকেট হাতে রেখেও তারা বড় রান তুললে পারেনি। জবাব দিতে নেমে খুলনার দুই ওপেনার নাজমুল শান্ত এবং মেহেদি মিরাজ দারুণ শুরু করেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে এক সঙ্গে খেলা এই দু’জনে যোগ করেন ১১৫ রান। শেষ পর্যন্ত নয় চার ও তিন ছক্কায় দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ফেরেন মিরাজ।
অথচ মেহেদি মিরাজের আসল পরিচয় তিনি ডানহাতি অফ স্পিনার। বয়সভিত্তিক দল থেকে পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসলেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। এবারের বিপিএলে আবার বল হাতে বিবর্ণ তিনি। পাননি উইকেট। সিলেটের বিপক্ষে বোলার বলা হোক কিংবা বোলিং অলরাউন্ডার; মিরাজ বল করার সুযোগই পাননি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে তার ওপর ভরসা রেখেছিল দল। ২.১ ওভার থাকতে দলকে জিতিয়ে সেই ভরসার প্রতিদান দেন তিনি।
ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, তার আত্মবিশ্বাস ছিল তিনি ওপেনিংয়ে পারবেন। টিম ম্যানেজমেন্টও তার ওপর ভরসা রেখেছে। দলের কোচ, খুলনার সঙ্গে বিসিবির পরিচালক হিসেবে কাজ করা খালেদ মাহমুদ সুজন এবং অধিনায়ক মুশফিক তার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এ ম্যাচে রান পাওয়ায় ভালো লাগছে তার।
মিরাজ জানান, তিনি সাধারণত যেখানে ব্যাট করেন সেখানে দ্রুত রান তুলতে হয়। স্লগ ওভারে দ্রুত রান তোলা তার জন্য কঠিন হয়ে যায়। তিনি ১৫ বলে ৩০ রান করার মতো ব্যাটসম্যান নন। কিন্তু টপ অর্ডারে বিশেষ করে পাউয়ারপ্লের সময় ব্যাটিং করলে তার জন্য রান পাওয়া সহজ হয়। গ্যাপ দেখে মারতে পারলে রান পাওয়া যায়। এ ম্যাচে বড় রান পাওয়ার পর অপরাজিত থাকায় নিজের কাছে ভালো লাগছে বলেও জানান তিনি।