তাসকিনের প্রথম ফাইফারে বিধ্বস্ত উইন্ডিজ, বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৩৩

1732561950.taskin2

অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান ছিল বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। হাতে ছিল একটি উইকেট। বাংলাদেশ তখনও পিছিয়ে ১৮১ রানে। সেখান থেকে যে কোনো দলই যতক্ষণ পারে ব্যাটিং করার চেষ্টা করবে।

তবে চতুর্থ দিন সকালেই সবাইকে চমকে দিল বাংলাদেশ। ওই রানে পিছিয়ে থেকেই ইনিংস ঘোষণা করলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনিংস ঘোষণার ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অবশ্য বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্পতেই গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

পেসার তাসকিনের বিধ্বংসী বোলিং তোপে দুই সেশন শেষ হওয়ার আগেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা, ১৫০ রানেই। এদিন টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফারসহ গুণে গুণে ৬টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন টাইগার পেসার, ৬৪ রানের বিনিময়ে।

তাসকিন বাদে অধিনায়ক মিরাজ ২টি এবং শরিফুল ও তাইজুল ১টি করে উইকেট শিকার করেন। তাতেই প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৩ রান।

এদিন নতুন বলে বাংলাদেশকে দ্রুত ব্রেক-থ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান করা মিকাইল লুইসকে এবার ৮ রানের বেশি করতে দেননি এই ডানহাতি পেসার। তাসকিনের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছেন লুইস। রিভিউ নিলেও সফল হননি।

লুইসের পর কিসি কার্টিকেও ফেরান তাসকিন। ডানহাতি এই পেসারের বলে তৃতীয় স্লিপে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছের ১ রান করা কার্টি। তাতে ৩৫ রানে ২ উইকেট হারায় উইন্ডিজ।

তাসকিনের পর উইকেট-পার্টিতে যোগ দেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়েছেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে। উইন্ডিজ অধিনায়কও স্লিপে জয়ের হাতে ধরা পড়েন। ২৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ফলে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এরপর দ্বিতীয় স্পেলে এসে ফের শিকারে মাতেন তাসকিন। একে একে ফেরান কাভেম হজ (১৫), আগের ইনিংসে শতক হাঁকানো জাস্টিন গ্রিভস (২), কেমার রোচ (১২) ও শামার জোসেফকে (৪)। এরমধ্যে জাস্টিন গ্রিভস ও শামার জোসেফকে সরাসরি বোল্ড করেন তাসকিন। সেইসঙ্গে প্রথমবার ফাইফার উদযাপনে মাতেন ও গোটা দলকে মাতান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৪৬.১ ওভারে ১৫২ (ব্র‍্যাথওয়েট ২৩, লুই ৮, কার্টি ৩, হজ ১৫, আথানেজ ৪২, গ্রেভস ২, দা সিলভা ২২, আলজারি জোসেফ ১৭, রোচ ১২, শামার জোসেফ ৪, সিলস ১*; তাসকিন ১৪.১-১-৬৪-৬, হাসান ৬-২-২০-০, শরিফুল ৭-৪-৯-১, মিরাজ ১৪-৩-৩১-২, তাইজুল ৫-১-২৫-১)

Pin It