তিন সপ্তাহ ধরে ভূমধ্যসাগরে ভাসতে থাকা ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে ১৭ জন শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন। ফেরার কথা ছিল ২০ জনের। তাদের জন্য বিমানের টিকিটও হয়েছিল। কিন্তু ৩ জন ফিরতে রাজি হননি।
লিবিয়া থেকে নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় গত ৩০ মে ৭৫ জন আটক করে মিশর। তাদের মধ্যে ৬৪ জন বাংলাদেশের। তিউনিশিয়া উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে তাদের উদ্ধার করে। তবে মিশর ও তিউনিশিয়া, কোনো দেশই তাদের আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। তিন সপ্তাহ ধরে তারা সাগরে ভাসছিলেন।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুরোধে গত ১৮ জুন ২০ বাংলাদেশিকে দেশটির জারসিজ বন্দরে নামার অনুমতি দেয়। সেখান থেকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) সহায়তায় দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তিনজন শেষ সময়ে তিনজন দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান বলে জানিয়েছে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র।
দূতাবাস সূত্র জানায়, বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন এ নিশ্চয়তা দেওয়ার পরই তিউনিশিয়া তাদের প্রবেশের অনুমতি দেয়। আশ্রয় দেয় দেশটির শরনার্থী শিবিরে। সাগরে আরো ৪৪ বাংলাদেশি ভাসছেন। দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানানো তিন বাংলাদেশি রাজি না হলে পরবর্তীতে তিউনিশিয়ার কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া কঠিন হতে পারে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেছেন, দেশে আসা ১৭ জনের মধ্যে আটজন মাদারীপুরের। চারজনে বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া। বাকিরা শরিয়তপুর, নোয়াখালী, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তারা দালাল ধরে লিবিয়া গিয়ে সেখান থেকে সাগর পথে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেছিলেন।