তিন মাসে খালেদা জিয়ার কোনো চিকিৎসা হয়নি: ফখরুল

Fakhrul-5c750eef97f18

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, গত তিন মাসে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয় নাই। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসা না দেওয়ায় তার রোগগুলো মারাত্মক রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মেডিকেল বোর্ড সাড়ে তিনমাস পরে গত পরশু (রোববার) আদালতের নির্দেশে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শরীর পরীক্ষা করতে গিয়েছিল। তারা দেখে বিস্মিত হয়েছেন, গত সাড়ে তিন মাসে তার কোনো রকম রক্ত পরীক্ষা করা হয় নাই, তার ব্লাড সুগার পরীক্ষা করা হয় নাই, কোনো এক্সরে করা হয়নি, তার ব্লাড প্রেসার মাপা হয় নাই, তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয় নাই।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, দেশনেত্রীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘ সময় পর পর সীমিত সময়ের জন্য দেখা করতে দেওয়া হয়। দলের পক্ষ থেকে গত চার মাস ধরে কাউকে দেখা করতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকি তার আইনজীবীরাও সাক্ষাৎ পায়নি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাড়ে তিন মাস আগে যেসব অসুখ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সেসব অসুখ আরও বেড়ে গেছে। তার বাম কাঁধে ব্যথা বৃদ্ধি পেয়েছে, ডান কাঁধে নতুন করে ব্যথা হচ্ছে। বাম বাহু, বাম পায়ে এবং কবজিতে ব্যথা অনেক বেশি বেড়েছে। ফলে কারও সাহায্য ছাড়া তিনি এখন দাঁড়াতে ও চলতে পারছেন না। প্রচণ্ড ব্যথা ও কাঁপুনির জন্য তিনি হাত দিয়ে কিছু ধরেও রাখতে পারছেন না। তিনি যে রোগগুলোতে ভুগছেন তা অত্যন্ত মারাত্মক। তার বয়স ৭৩ এর কাছাকাছি। এই বয়সে এই রোগগুলোর যদি নিয়মিত চিকিৎসা না হয়, প্রতিদিন যদি মনিটর না করা হয়, তাহলে তার জীবন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে পারে। গত সাড়ে তিন মাসে দেশনেত্রীর হৃদরোগ, লিভার বা কিডনির কোনো পরীক্ষা করা হয়নি, যা নিয়মিতভাবে করা অত্যন্ত জরুরি ছিল।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, কারাগারে যথা সময়ে দেশনেত্রীর চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করা এবং পরিত্যক্ত কারাগারে রেখে তার স্বাস্থ্যের অবণতি ঘটানোর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কার কথাটা আমরা বার বার বলে আসছি। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে অকালে এভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দেশবাসী মনে করে। সুচিকিৎসা না দেওয়া এবং কয়েকদিন পর পরেই তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করে মানসিকভাবে হেনস্তা করা- এই সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কোনো ক্ষতি হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের চেয়ারপারসনের সর্বোত্তম সুচিকিৎসার জন্য যদি বাড়তি ব্যয়ের প্রয়োজন হলে তা দল বহন করতে রাজি আছি আমরা।

Pin It