তিন মাসে ২০০০ কোটি টাকা না দিলে জিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: বিটিআরসি

btrc-gp-5e0e1a1a3cffb

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা জমা না দিলে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি। আইন অনুযায়ী প্রশাসকও বসানোর ক্ষমতা রয়েছে বিটিআরসির।

বৃহস্পতিবার বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক। সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির কমিশনার মো. আমিনুল হাসান, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহফুজুল করিম মজুমদারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান তার সময়ে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতকে এগিয়ে নেওয়ার বিবরণ এবং নতুন কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

সাংবাদিকরা গত বছরজুড়ে আলোচিত দুই অপারেটরের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা আদায় নিয়ে বিটিআরসির সর্বশেষ অবস্থান কী জানতে চান। জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামীণফোন আদালতে গিয়েছিল এবং গত ২৪ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালত তাদের তিন মাসের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা জমা দেয়, তাহলে হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ থেকে যাবে। আর না দিলে স্থগিতাদেশ উঠে যাবে। তখন বিটিআরসি আইনে যে ক্ষমতা আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এই ক্ষমতা অনুযায়ী গ্রামীণফোনে প্রশাসক বসানো হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আইনে যা আছে তাই প্রয়োগ করা হবে। বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় আইন অনুযায়ী বিটিআরসি যখন সেই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তখনই গ্রামীণফোন আদালতে যায়। অতএব এখন আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যদি গ্রামীণফোন আদালত নির্দেশিত অর্থ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করে তাহলে তাদের অনাপত্তিপত্র প্রদান বন্ধের সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করা হবে না।

Pin It