ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকাকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে তিন মেয়াদে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চান নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়রের বর্তমান মেয়াদ আছে আর এক বছর। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিনি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো এগিয়ে নিতে চান।
শনিবার রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন পরিকল্পনার কথা বলেন। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার মাসে এই বিজয় শুধু আমার নয়। এ বিজয় সবার। এই জয় ঢাকার নতুন দিনের পথ চলার প্রথম পদক্ষেপ। তিনি বলেন, যারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন তাদেরও অনুরোধ করব, আসুন আমরা সব বিভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আধুনিক ঢাকা গড়ার কাজ করি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি হিসেবে ঢাকা উত্তরের উন্নয়নকে তিন ভাগে ভাগ করেছি। আগামী এক বছরে যা করতে চাই তা হলো- ঢাকা উত্তরকে আলোকিত নগরীতে পরিণত করা; পরিবেশ দূষণ রোধ; নগর অ্যাপসকে সক্রিয় করা; হোল্ডিং ট্যাক্স ও আর্থিক লেনদেন ডিজিটালাইজড ও অটোমেটেড করা; বৃক্ষরোপণ, নগর বনায়ন, নগর কৃষির বিস্তার ও বিকাশ; প্রতি মহল্লায় উন্মুক্ত পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলার মাধ্যমে সবুজ ঢাকা গড়ে তোলা।
মেয়র বলেন, নগরীর দখলকৃত ফুটপাত নাগরিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। দখলমুক্ত করে প্রতিটি ফুটপাত উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ডিএনসিসি নিয়ে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
রাজধানীতে মশার যন্ত্রণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমন্বিত পদ্ধতিতে মশার বিরুদ্ধে ক্রাস প্রোগ্রাম নেওয়া হবে। এ জন্য সেনানিবাস, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বিমানবন্দর, ডিএমপি ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমন্বয় করে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।
উপনির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের পার্সেন্টেস কোনো ব্যাপার নয়। বিভিন্ন কারণেই ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে প্রবেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হলো গাবতলী ও টঙ্গী। এ দুটি প্রবেশপথ যাতে দখলমুক্ত থাকে সে ব্যবস্থা করা হবে।