তিস্তার পানিবণ্টনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ভাঙনকবলিত ধরলা নদীতে কালোয়া বাঁধে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগের ডাম্পিং কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
জাহিদ ফারুক বলেন, ‘তিস্তা নদীশাসনে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদেরও পানি দরকার, আমাদেরও পানি দরকার। আমরা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র কীভাবে তিস্তার পানি ব্যবহার করতে পারি, সে ব্যাপারে দুই দেশের টেকনিক্যাল পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে এই এলাকার ভাঙন ও বন্যা কমে আসবে। এলাকাবাসী যাতে বন্যার পানিতে প্লাবিত না হয়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এরপর প্রতিমন্ত্রী উলিপুর শহরে বুড়িতিস্তা নদী খননকাজের অগ্রগতি, নাগড়াকুড়া টি হেড গ্রোয়েন বাঁধ ও চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র তীর রক্ষা বাঁধের নতুন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি স্পিডবোটে চিলমারীর রমনা ও উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নে ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে দুপুরে গাইবান্ধার উদ্দেশে কুড়িগ্রাম ছাড়েন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাংসদ পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সাংসদ আবদুল মতিন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সাংসদ মো. জাফর আলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজার রহমান প্রমুখ।