বিএসটিআই রোজার আগে বাজার থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে ৫২টি ব্র্যান্ডের ১৮টি নিম্নমানের পণ্য চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে ভোজ্যতেলের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড তীর, রূপচাঁদা ও পুষ্টিও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে বিএসটিআই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত দুই মাসে ইফতার ও সেহরির জন্য ব্যবহৃত ২৭ ধরনের খাদ্যপণ্যের ৪০৬টি নমুনা গোপন তৎপরতার মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করে বিএসটিআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। ৪০৬টি নমুনার মধ্যে ৩১৩টির ফল পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৫২টি ব্র্যান্ডের ১৮টি নিম্নমানের রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএসটিআইয়ের তালিকা অনুযায়ী, ভেজাল সরিষার তেলের মধ্যে সিটি অয়েল মিলের তীর, গ্রিন ব্লিসিং ভেজিটেবল অয়েল কোম্পানির জিবি, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের রূপচাঁদা এবং শমনম ভেজিটেবল অয়েলের পুষ্টি ব্র্যান্ড রয়েছে।
ভেজাল আয়োডিনযুক্ত লবণের মধ্যে এসিআই, মোল্লা সল্ট, মধুমতি, দাদা সুপার, তিন তীর, মদিনা, স্টারশিপ, তাজ ও নূর স্পেশাল নামের ব্র্যান্ডগুলো রয়েছে। লাচ্ছা সেমাইয়ের মধ্যে রয়েছে- মিষ্টিমেলা, মধুবন, মিঠাই, ওয়েলফুড, বাঘাবাড়ি স্পেশাল, প্রাণ, জেদ্দা, কিরণ ও অমৃত। লুডলসের মধ্যে রয়েছে নিউ জিল্যান্ড ডেইরির ডুডলি নুডলস।
ভেজাল হলুদের গুড়ার মধ্যে রয়েছে- ড্যানিশ, ফ্রেশ, বাঘাবাড়ি স্পেশাল, প্রাণ ও সান। এসিআই ফুডের এসিআই পিওর ব্র্যান্ডের ধনিয়াগুড়া পরীক্ষাগারে অকৃতকার্য ঘোষণা করা হয়েছে। কাশেম ফুড প্রোডাক্টের ‘সান’ ব্র্যান্ডের চিপসও নিম্নমানের।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বিএসটিআই বছরজুড়ে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
“রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষায় অসাধু ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাগণ যাতে ভেজাল/নিম্নমানের খাদ্যপণ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিপণন হতে বিরত থাকে সে লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান জোরদার করা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীতে বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে প্রতিদিন তিনটি, ঢাকা মহানগর ছাড়া পাশের উপজেলা ও জেলা শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি, বিএসটিআইয়ের ১০টি আঞ্চলিক/বিভাগীয়/জেলা অফিসের মাধ্যমে প্রতিদিন একটি করে ১০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইনসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।