তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা বাড়াতে চুক্তির খসড়া অনুসমর্থন

1605517370.rakak

বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন অ্যান্ড মিউর্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন কাস্টমস ম্যাটারস’ এর অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন এ চুক্তি না হওয়ার ফলে আমাদের অনেকগুলো আইটেম তুরস্কে ঢুকতে পারছে না। তুরস্কে আমাদের রফতানি কমে গেছে। এটা যখন আমরা তাদের সঙ্গে পয়েন্ট আউট করলাম তারা বলল চুক্তিটা কমপ্লিট করার জন্য। চুক্তিটা হলে আমরা আইটেম দেখে বুঝতে পারবো কোন আইটেমগুলো আমাদের এখানে সাবস্টিটিউট আর কোন আইটেমগুলো কমপ্লিমেন্টারি। তোমাদের যে কমপ্লিমেন্টারি আইটেম আসবে সেগুলোকে আমরা অনেক বেনিফিট দিয়ে দেব। সেক্ষেত্রে আবার হয়তো বেড়ে যাবে, যেগুলো সাবস্টিটিউট আইটেম সেগুলোতে আমরা খুব একটা সুবিধা দিতে পারবো না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তাই যতক্ষণ পর্যন্ত চুক্তি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সেই বেনিফিট পাবো না। তুরস্কে গত ২ থেকে ৩ বছরে আমাদের ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রফতানি কমে গেছে।

তিনি বলেন, চুক্তি হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়বে। দু’দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ সুসংহত হবে। আর পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে একদেশ আরেক দেশকে তথ্য দিতে পারবে। দু’দেশেরই অর্থনীতি, জনস্বার্থ ও অন্যান্য স্বার্থ কার্যকর হবে। কারণ যেগুলো আমাদের প্রয়োজন আমরা তুরস্ক থেকে আনতে পারবো।

দু’দেশের আর্থিক গোয়েন্দা কার্যক্রমেও একজন আরেকজনকে সহায়তা করবে। আর কাস্টমসের উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা বিশেষ করে তুরস্কের যে কাস্টমস ফ্যাসিলিটিজ আছে সেটা দেখে যদি আমাদের কাজে লাগে আমরা সেখানে কো-অপারেশন দিয়ে আমাদের কাস্টমসকে ইমপ্রুভ করতে পারি।

Pin It