নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ে তুরস্কের অংশীদারদের সঙ্গে ‘কাজ করা সম্ভব হবে না’ বলে জানিয়েছে গুগল। তুরস্কের প্রতিযোগিতা বোর্ড গুগলের বিপক্ষে রায় দেওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সিদ্ধান্তটির বিষয়ে তুরস্কের এক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করেছে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি। — খবর রয়টার্সের।
মোবাইল সফটওয়্যার বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে গুগলকে জরিমানা করেছিল তুরস্কের প্রতিযোগিতা বোর্ড। জরিমানার অর্থ ধরা হয়েছিল নয় কোটি ৩০ লাখ লিরা বা এক কোটি ৭৪ লাখ ডলার।
ওই জরিমানার পাশাপাশি গুগলকে বাজার প্রতিযোগিতা স্থিতিশীল করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ছয় মাসের সময়ও বেঁধে দিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর বোর্ড এক রায়ে জানিয়েছে, ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে গুগল যেটুকু পরিবর্তন এনেছে, তা যথেষ্ট নয়।
পরিবর্তন যথেষ্ট না হওয়ার কারণ হিসেবে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিনের কথা বলা হচ্ছে। দেশটির অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এখনও ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ‘গুগল’ ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই বিষয়ে কোনো পরিবর্তন আনেনি মার্কিন সার্চ জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিযোগিতা বোর্ডের সাম্প্রতিক রায়ের উত্তরে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে গুগল। ওই বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, “আমাদের ব্যবসায়িক অংশীদারদেরকে জানিয়ে দিয়েছি যে তাদের সঙ্গে মিলে তুরস্কের বাজারের জন্য নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন আনতে কাজ করা সম্ভব হবে না।”
সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “গ্রাহকরা চাইলে বর্তমানে বিদ্যমান মডেলগুলো কিনতে পারবেন এবং তাদের ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশন সাধারণভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন। গুগলের অন্যান্য সেবায় এর ফলে কোনো প্রভাব পড়বে না।”
প্রতিযোগিতা বোর্ডের নতুন রায়ে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনের জন্য প্রতিদিন মোট লাভের ০.০৫ শতাংশ করে গুণতে হবে গুগলকে। বোর্ডের নিয়ম মেনে নীতিতে পরিবর্তন না আনা পর্যন্ত জরিমানা বলবৎ থাকবে। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য ৬০দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে গুগলকে।
তুর্কী কর্তৃপক্ষের দাবি, সব সফটওয়্যার বিতরণ চুক্তিতে পরিবর্তন আনতে হবে গুগলকে, এতে করে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে অন্য কোনো সার্চ সেবা বেছে নিতে পারবেন। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, রাশিয়ান সার্চ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও গুগল প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়ানডেক্স এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল। ওই ঘটনাটির পরেই তদন্ত শুরু করেন তুরস্কের নিয়ন্ত্রকরা।