তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নিষ্ক্রিয় পেট্রোবাংলা

Untitled-79-5e18cb888de8b-5e18e8bee846f

বাংলাদেশ বরাবরই জ্বালানি তেল ডিজেল, কেরোসিন, জেট ফুয়েল আমদানি করে থাকে। বছরে কমবেশি ৬০ লাখ টন তেল আমদানি করতে হয়। এতে বছরে ব্যয় হয় কমবেশি ৩৮ হাজার কোটি টাকা। গত কয়েক মাস বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছিল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের একটি বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে। এতে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, সারাবিশ্বেই নতুন এক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তেলের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তেলের দাম বাড়লে এলএনজির দামও বাড়তে পারে।

দেশে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো হয় ডিজেল দিয়ে। শুস্ক মৌসুমে কৃষির সেচকাজেও ডিজেলের ব্যবহার ব্যাপক। ডিজেল-কেরোসিনের আমদানি ব্যয় বেড়েই চলেছে। নতুন করে এলএনজি (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানিও বাড়ছে। এদিকে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি করা জ্বালানির দাম অনেক বেশি। ফলে দেশে সার্বিকভাবে শিল্পসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। সরকারকেও বারবার তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হচ্ছে। সার্বিক জনজীবনে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

কিন্তু দেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্বে নিয়োজিত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলা এ বিষয়ে অনেকটা নিষ্ফ্ক্রিয় বা নির্বিকার। আমদানির বিষয়ে সক্রিয় হলেও দেশে তেল-গ্যাস আবিস্কারে নিষ্ক্রিয়। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাপেক্স। পেট্রোবাংলার অধীন এ কোম্পানি এক প্রকার অলস বসে আছে। তাদের হাতে বর্তমানে তেমন কাজ নেই। সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কয়েকটি বিদেশি কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে তারাও সক্রিয় নয়। ফলে বিদেশ থেকে এখন অতিরিক্ত দামে এলএনজি আমদানি করে চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত গ্যাসের চেয়ে আমদানি করা গ্যাসের দাম প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। আমদানির পরিমাণ যত বাড়বে, ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের দামও তত বাড়াতে হবে। কারণ এত বেশি ভর্তুকি দেওয়ার আর্থিক সক্ষমতা সরকারের নেই। তার পরও তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে পেট্রোবাংলা জোরালো কোনো কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে না।

দেশে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। সেখানে সরবরাহ করার ক্ষমতা আছে ৩২০ কোটি ঘনফুট। ঘাটতি ১০০ কোটি  ঘনফুট। বর্তমানে প্রতিদিন আমদানি করা গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে ৬০ কোটি ঘনফুট। পাইপলাইন সীমাবদ্ধতার কারণে আরও ৪০ কোটি ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এলএনজি আমদানির জন্য আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানি পাইপলাইনে আছে। ফলে আমদানির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, পৃথিবীর ব-দ্বীপ দেশগুলো তেল-গ্যাসসমৃদ্ধ। তেমনি বাংলাদেশে এখনও অনেক গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে, বঙ্গোপসাগরে সম্ভাবনা ব্যাপক। সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বড় বাধা ছিল সীমানা সমস্যা। সেই সমস্যা সমাধান হয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে ২০১২ ও ভারতের সঙ্গে ২০১৪ সালে। মিয়ানমার তাদের প্রান্তে গ্যাস আবিস্কার করে সেই গ্যাস তুলে বিদেশে রপ্তানি করছে। ভারতও তাদের সীমানায় সাগরে গ্যাস আবিস্কার করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও সাগরে জোরেশোরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কাজই শুরু করতে পারেনি।

গত জুনে গ্যাসের দাম একলাফে ৩২ শতাংশ বাড়ানো হয়। এখন ফের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে। কারণ এত ভর্তুকি দেওয়ার সক্ষমতাও সরকারের নেই। চলতি বাজেটে রাজস্ব আহরণের যে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। ফলে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ইউএসজিএস ২০০১ সালে বলেছিল, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ সীমানায় অন্তত আট টিসিএফ উত্তোলনযোগ্য গ্যাস থাকতে পারে। ২০০৪ সালে মার্কিন তেল-গ্যাস কোম্পানি ইউনিকল একটি জরিপ করে বলেছিল, দক্ষিণের জেলা ভোলাতে কমবেশি চার টিসিএফ গ্যাস থাকতে পারে। ফলে শুধু সাগর ও ভোলাতেই মোট ১১ টিসিএফ গ্যাসপ্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে আবিস্কৃত যে ক্ষেত্রগুলো আছে, সেখানে উত্তোলনযোগ্য মজুদ রয়েছে এখনও আট টিসিএফ। দেশে বর্তমানে প্রতিবছর গ্যাসের চাহিদা হলো গড়ে এক টিসিএফ। অর্থাৎ, এ হিসাবে দেশে মোট ২০ বছরের চাহিদা পূরণ করার মতো গ্যাস আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুসন্ধান কাজ যদি জোরদার থাকত তাহলে এসব তেল-গ্যাস আবিস্কার করা সম্ভব হতো। এ বিপুল পরিমাণ গ্যাস উত্তোলন করতে পারলে অতি উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি করার প্রয়োজন হতো না। পরবর্তী ১০ বছরে এলএনজি আমদানিতে যে কয়েক লাখ কোটি টাকা খরচ হবে, সেটাও হতো না।

মালয়েশিয়ার তেল-গ্যাস কোম্পানি পেট্রোনাস এবং ভারতের ওএনজিসি কয়েক দশকে ব্যাপক সক্ষমতা অর্জন করেছে। শুধু নিজের দেশ নয়, তারা বিদেশে গিয়েও তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও তোলার কাজ করছে। সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সক্ষমতাও অর্জন করেছে এ দুই কোম্পানি। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স সেই সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। কারণ এখানে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্বলতা ছিল। বাপেক্স সাগরের বাইরে সমতল ভূমিতে মাটির নিচে গ্যাস অনুসন্ধান ও তুলতে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। কিন্তু সমুদ্রে অনুসন্ধান বা উত্তোলনের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু বাপেক্সকে বাদ দিয়ে সমতল ভূমির বহু তেল-গ্যাস ব্লক বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে।

২০১২ সালে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে টেন্ডার ছাড়াই বাংলাদেশে মোট ভূমির ১০টি কূপ খননের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে আরও পাঁচটি কূপের অনুমোদন দেওয়া হয়, সেটাও টেন্ডার ছাড়াই। এ কূপগুলো বাপেক্সই খনন করতে সক্ষম ছিল। গত ৩০ বছরে বাপেক্স হাজার হাজার লাইন কিলোমিটার ভূতাত্ত্বিক জরিপ করেছে, একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কার করেছে। অথচ হাতেগোনা কিছু অনুসন্ধান কূপ খনন করার অনুমোদন পেয়েছে।

বিশ্নেষকরা দাবি করেন, বাপেক্সের প্রতি পেট্রোবাংলার তেমন কোনো আগ্রহ নেই, আগ্রহ বিদেশি কোম্পানিতে। বাপেক্সকে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিতে চায় না পেট্রোবাংলা। অবশ্য বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে কূপ খননের জন্য বেশ কয়েকটি রিগ কেনা হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। বেশ বিনিয়োগও করা হয়েছে এ সংস্থায়। তবে এ রিগগুলো বর্তমানে কূপ খননের অভাবে অলস পড়ে আছে বলে জানা গেছে।

২০১৪ সালে শ্রীকাইলে দুটি কূপ খননের পর ‘শ্রীকাইল ৪ নম্বর কূপ’ থেকে গ্যাস উত্তোলনের অনুমোদন চায় বাপেক্স। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। অথচ একই স্তরে অবস্থিত বাঙ্গুরার চারটি কূপ থেকে উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে সিঙ্গাপুরের তেল-গ্যাস কোম্পানি ক্রিস এনার্জি। এ কূপগুলো থেকে বাপেক্সকে দিয়ে গ্যাস উত্তোলন করালে মাত্র ১০ ভাগের ১ ভাগ খরচে গ্যাস পাওয়া যেত।

বাপেক্সের বদলে বিদেশি কোম্পানি দিয়ে কাজ করালেই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বাড়ে। কারণ, প্রতিটি কূপ খনন করতে বাপেক্স নেয় ৮০ কোটি টাকা। আর বিদেশি কোম্পানি নেয় গড়ে ১৫০ কোটি টাকা। থ্রিডি জরিপ করতে বাপেক্স নেয় ৯ থেকে ১৩ লাখ টাকা আর বিদেশি কোম্পানি নেয় সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা।

১৯৯৭ সালে মাগুরছড়ায় এবং ২০০৫ সালে টেংরাটিলায় বিদেশি কোম্পানির কূপ খননকাজ চলার সময় তিনটি ভয়াবহ গ্যাস বিস্টেম্ফারণ ঘটে। এ বিস্টেম্ফারণগুলোতে দেশের প্রায় ৫৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ধ্বংস হয়ে যায়। অপূরণীয় ক্ষতি হয় পরিবেশের। টেংরাটিলায় নাইকোর অদক্ষতার কারণেই যে বিষ্ফোরণ ঘটেছে, সে বিষয়ে বাপেক্সের কাছে নাইকোর লিখিত স্বীকারোক্তিও আছে। অথচ বাপেক্সের প্রায় ৩০ বছরের খনন ইতিহাসে একটি দুর্ঘটনারও নজির নেই। কিন্তু সেই রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্সের প্রতি রাষ্ট্রের সুনজরের ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

মাইলের পর মাইল জরিপ করে গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স, আর গ্যাসকূপ খনন ও উত্তোলনের অনুমতি পায় বিদেশি কোম্পানি। বিদেশিরা খনন করে বাপেক্সের দ্বিগুণ খরচে, গ্যাস বিক্রিও করে বাপেক্সের তিন গুণ দামে। বিদেশিদের ত্রুটিপূর্ণ খননে গ্যাসকূপ নষ্ট হয়, আর শেষ পর্যন্ত সেগুলো মেরামতও করে বাপেক্স। তার পরও বাপেক্সকে বিনিয়োগ করতে প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়া হয় না। বাপেক্স কূপ খননের অনুমোদন পায় না। বরং জনগণের ওপর এলএনজি আমদানির বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয় আক্ষরিক অর্থেই ১০ গুণ বাড়তি দামে।

তেল-গ্যাস খাতে রাশিয়ার প্রভাব :২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সমঝোতা হয়। বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে রাশিয়া কমবেশি এক লাখ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। এটাই দেশের একক বড় প্রকল্প। মোট প্রকল্প ব্যয় এক লাখ তেরো হাজার কোটি টাকা। এদিকে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের কোম্পানি গ্যাজপ্রম বাংলাদেশে ১০টি তেল-গ্যাস কূপ খননের ঠিকাদার হিসেবে নিযুক্ত হয়। তারা বিনা দরপত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ) আইনের অধীনে এসব কূপ খননের কাজ পায়।

গ্যাজপ্রমকে কূপপ্রতি চুক্তি মূল্যবাবদ গড়ে ১৫৫ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। যদিও বাপেক্সের তথ্য অনুযায়ী তারা নিজেরা এসব কূপ (প্রতিটি) খুঁড়লে গড়ে খরচ পড়ত সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া বাপেক্সের কাছ থেকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস সরকার নেয় ৮৫ টাকায়। বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে সমপরিমাণের গ্যাসের জন্য সরকারের খরচ পড়ে প্রায় ২৫০ টাকা।

অবশ্য তেল-গ্যাস খাতে আমেরিকার প্রভাব বেশ আগে থেকেই। বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি শেভরনের কাছে রয়েছে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র। বিবিয়ানা, জালালাবাদ ও মৌলভীবাজার। দেশে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদার অর্ধেকই দিচ্ছে এই কোম্পানি। আমেরিকার পাশাপাশি এখন রাশিয়ার প্রভাবও বাড়ছে।

সাগরে কার্যক্রম নেই :সাগরে সীমানা নিষ্পত্তি হওয়ার পর বর্তমানে মোট চারটি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে। সাগরে কোথায়, কী পরিমাণ তেল-গ্যাসপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে, সে বিষয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য জরিপ তথ্য বাংলাদেশের হাতে নেই। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলোও এখানে কাজ করতে তেমন আগ্রহী নয়। বিশ্নেষকরা বলছেন, এর পরও সাগরে কোথাও গ্যাসের সন্ধান মিললে সেখানে কূপ খনন করে নিশ্চিত হতে হবে। পরীক্ষা করে দেখতে হবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস বা তেল আছে কিনা। সেই গ্যাস বা তেল সমতলে আনতে পাইপলাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বহু আগেই সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি ছিল। সাগরে তেল-গ্যাসপ্রাপ্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। কারণ পাশের দেশগুলো যেহেতু পেয়েছে, সেহেতু আমরাও পাব। এ বিষয়ে সরকারকে অবশ্যই অধিক নজর দিতে হবে।

Pin It