প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চায় হলুদের কদর রয়েছে। যা এখনও কমেনি।
হলুদ কেবল শরীরের জন্য নয় ত্বকের জন্যও উপকারী।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ত্বকের যত্নে হলুদের ব্যবহার সম্পর্কে জানানো হল।
ত্বক ভালো রাখতে: হলুদে আছে প্রাকৃতিক উপাদান কারকিউমিন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এটা সিরোসিস ও একজিমার কারণে হওয়া ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
দ্রুত ক্ষত উপশম করে: হলুদ দ্রুত ত্বকের জারণ ও মানসিক চাপের কারণে হওয়া মলিনভাব দূর করতে পারে। ক্ষতস্থানের ওপর কেবল হলুদ লাগিয়ে রাখলেও তা সারাতে সহায়তা করে।
বলিরেখা কমায়: বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে হলুদ। কারণ এতে আছে কোষকলার মাত্রা বৃদ্ধি ও আর্দ্রতা রক্ষা করার ক্ষমতা। এর মানে হল, হলুদ খুব সহজে বলিরেখা ও ত্বকের ভাঁজ দূর করতে সহায়াত করে।
অতি বেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষয় থেকে রক্ষা: গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহয্য করে। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। একারণে ত্বকে হলুদের পেস্ট ব্যবহার করা হলে ঠাণ্ডা ও আরাম অনুভূত হয়। আর রোদের কারণে হওয়া র্যাশ ও পোড়াভাব দূর হয়ে যায়।
ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে: ত্বক বিষাক্ত উপাদানের কারণে মলিন ও অস্বস্তিকর হয়ে পড়ে। হলুদ ত্বককে পরিষোধিত করে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
ব্রণ ও কালো দাগ কমায়: হলুদ ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে জ্বলুনি কমায় বিশেষ করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তাদের ত্বকে হলুদ খুব ভালো কাজ করে। হলুদে থাকা কারকিউমিন এমন এক ধরনের এঞ্জাইম যা রোদ ও ‘হাইপার পিগমেন্টেইশন’য়ের কারণে হওয়া কালো দাগ ও পোড়াভাব কমাতে কার্যকর।