থাইল্যান্ডের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ৩৬টি পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার ব্যাংককে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ওই ৩৬ পণ্যের তালিকা হস্তান্তর করেন বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৪৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য থাইল্যান্ডে রপ্তানি করেছে। আর থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করেছে ৯৫২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী সভায় বলেন, এই ব্যবধান কমাতে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি পণ্যের ‘ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি’ সুবিধা প্রয়োজন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দেওয়া হলে বাণিজ্য সহজ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার তথ্য তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। থাইল্যান্ড যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে উন্নতমানের হাসপাতাল নির্মাণ করলে বাংলাদেশ সরকার সহায়তা করবে। এতে করে উভয় দেশে উপকৃত হবে।
বাংলাদেশ এখন থাইল্যান্ডে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, সামদ্রিক মাৎস্য ও অন্যান্য প্রাণিজ পণ্য, কাগজ ও কাগজের মণ্ড, সাবান, প্লাস্টিক পণ্য এবং রবার রপ্তানি করছে।
মন্ত্রী বলেন, আরও অনেক বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে থাইল্যান্ডে। বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে থাইল্যান্ডে সেসব পণ্যও রপ্তানি করা সম্ভব। তাতে উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লাভবান হবে।
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড জয়েন্ট ট্রেড কমিটির ষষ্ঠ সভা সুবিধাজনক সময় ঢাকায় হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে উভয় দেশ কৃষি ও স্বাস্থ্য সেবা খাতে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে একমত হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিষয়গুলো থাইল্যান্ড সরকার ‘সহানুভূতির সাথে’ বিবেচনা করবে বলে সভায় জানানো হয়।
থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা শিগগিরই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করবেন বলেও জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।