এক জুটিতেই এসেছে একশর বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকা তবু যেতে পারল না দুইশর কাছাকাছিও। ইনিংসের মাঝামাঝি দুর্দান্ত স্পেলে এক ওভারে তিনটিসহ চার উইকেট নিলেন উসমান খান শিনওয়ারি। ধস নামল প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে। সহজ রান তাড়ায় জিতে সমতায় ফিরল পাকিস্তান।
ম্যাচের আগে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের নিষেধাজ্ঞার খবর পেয়েছিল পাকিস্তান। সেই ধাক্কা সামলে শোয়েব মালিকের নেতৃত্বে পাওয়া দারুণ জয় জিইয়ে রেখেছে সিরিজের উত্তেজনা। চতুর্থ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে তারা ৮ উইকেটে। ৫ ম্যাচের সিরিজে এখন ২-২ সমতা।
জোহানেসবার্গে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬৪ রানে আটকে পাকিস্তান জেতে ১১১ বল হাতে রেখেই।
স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ও তহবিল সংগ্রহে প্রতি মৌসুমেই একটি ‘পিঙ্ক ডে’ ম্যাচ আয়োজন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচে এবারই প্রথম হারের স্বাদ পেল প্রোটিয়ারা।
ওয়ান্ডারার্সের উইকেট সীমিত ওভারে বরাবরই কথা বলে ব্যাটসম্যানদের হয়ে। এ দিন ছিল ব্যতিক্রম। বোলাররা পেয়েছে সহায়তা, বল একটু থেমেও এসেছে। ম্যাচ শেষে উইকেট নিয়ে বিস্ময় জানালেন স্বাগতিক অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতে ধাক্কা দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাঁহাতি পেসার শূন্য রানে ফেরান বিপজ্জনক কুইন্টন ডি কককে, ২ রানে রিজা হেনড্রিকসকে।
তৃতীয় উইকেটে হাশিম আমলা ও দু প্লেসি গড়েন দারুণ জুটি। দুজনই পেরিয়ে যান ফিফটি। দক্ষিণ আফ্রিকা তখন ছিল বড় স্কোরের পথেই। এই জুটি ভাঙার পর আচমকাই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র।
১০১ রানের জুটি ভাঙে দু প্লেসির বিদায়ে। ৫৭ রান করা প্রোটিয়া অধিনায়ককে ফেরান লেগ স্পিনার শাদাব খান। একটু পর ৫৯ রানে আমলাকে বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম।
এরপরই উসমানের ঝলক। বাঁহাতি পেসার একে একে ফেরান চার ব্যাটসম্যানকে। ৪৫ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
উইকেটের কারণেই এই স্কোর নিয়ে লড়াইয়ের আশা হয়তো ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু বোলিংয়ের মতো পাকিস্তানের রান তাড়াও হয় দুর্দান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান যোগ করেন ৭০ রান।
৪৪ বলে ৪৪ রান করে আউট হন ফখর। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইমাম এরপর বাবর আজমকে নিয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের কিনারায়।
দুই দলের স্কোর যখন সমান, তখন আউট হয়ে যান ইমাম। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮৬, তৃতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির পর এবার ইমাম করেছেন ৭১।
বুধবার কেপ টাউনে হবে সিরিজের ফয়সালা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪১ ওভারে ১৬৪ (আমলা ৫৯, ডি কক ০, রিজা হেনড্রিকস ২, দু প্লেসি ৫৭, ফন ডার ডাসেন ১৮, মিলার ৪, ফেলুকওয়ায়ো ১১, স্টেইন ০, রাবাদা ০, বিউরান হেনড্রিকস ২*, তাহির ৫; উসমান ৪/৩৫, শাহিন শাহ ২/২৪, আমির ১/২৬, ইমাদ ১/৩৬, শাদাব ২/৪২)।
পাকিস্তান: ৩১.৩ ওভারে ১৬৮/২ (ইমাম ৭১, ফখর ৪৪, বাবর ৪১*, রিজওয়ান ৪*; স্টেইন ০/২৬, বিউরান হেনড্রিকস ০/৩১, রাবাদা ০/২৯, তাহির ১/৫১, ফেলুকওয়ায়ো ১/১৭, রিজা হেনড্রিকস ০/১৩)
ফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ২-২ সমতা
ম্যান অব দা ম্যাচ: উসমান খান শিনওয়ারি