ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে রাহুল গান্ধীর অনড় সিদ্ধান্তের মধ্যে বৈঠক করছে কংগ্রেস। এ বৈঠক ঘিরেই রাহুলের উত্তরসূরি খোঁজা নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, মঙ্গলবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন রাহুল। দিল্লিতে তার বাসভবনে হাজির হন দলের নেতা-নেত্রীরাসহ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। দলের শীর্ষ নেতারা এখনো রাহুলকে দলের সভাপতি পদে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাকে শেষবারের মত এ অনুরোধও তারা জানাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু রাহুল হয়ত তাতে সাড়া না দিয়ে আরো নির্দিষ্ট করে তার সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। ফলে তাকে ছাড়াই কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের প্রক্রিয়া এবং তার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে দলকে। কংগ্রেস এ সপ্তাহ শেষেই আবার বৈঠকে বসছে। রাহুলের উত্তরসূরি নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে সে বৈঠকেই।
কারণ, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) ওই বৈঠকেই রাহুলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হতে পারে এবং তারপর তা ঘোষণা করা হতে পারে।
নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর গত শনিবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন রাহুল। কিন্তু কমিটি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি। বরং দলের দুঃসময়ে রাহুলকেই দলের হাল ধরে রাখতে বলেন নেতা-কর্মীরা। এমনকি রাহুলের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে মত ছিল না তার মা সোনিয়া গান্ধী এবং বোন প্রিয়াঙ্কারও।
তখনকার মতো বিষয়টি মিটে গেলেও পরে ফের কঠোর অবস্থান জানান দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা আবারো বুঝালেও রাজি করাতে পারেননি এবং তারাও শেষ পর্যন্ত রাহুলের সিদ্ধান্তেই মত দিয়েছেন।
সোমবার দলের দুই বর্ষীয়ান নেতা আহমেদ পটেল এবং কে সি বেণুগোপালের সঙ্গে বৈঠক করে রাহুল তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে নতুন নেতা খোঁজার জন্যও এ দুই নেতাকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন তিনি।
দলের এই দুর্দিনে রাহুল পিছু হঠছেন কিনা- নানা মহল থেকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, “আমি পালিয়ে যাচ্ছি না। আমি বরং আরও বেশি করে লড়াই করব। এমনকি, কংগ্রেসের হয়ে না পারলে আদর্শগত লড়াই করব।”