দলের প্রাথমিক সদস্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত কেউ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, “আপনাদের মাধ্যমে আমি বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলের কোনো নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। যদি কেউ দলের এই সিদ্ধান্তের বরখেলাপ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সাংগঠনিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝাতে চাইছেন জানতে চাইলে রিজভী বলেন, “সব ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
নেতা-কর্মী যারাই বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ নিয়েছে তাদের কেউই এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ১০২টি উপজেলায় স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিনিধি বাছাইয়ে ভোট গ্রহণ হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে।
এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হবে ২৭ জানুয়ারি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩ ফেব্রুয়ারি।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, শাহ নেসারুল হক, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।