আমি-তুমি এক প্রাণ- হতে পারে সেটা সিনেমায়, তবে বাস্তবে নয়।
কারও প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে জীবন ভাসিয়ে দেওয়া ঠিক না।
বরং নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে পথ চলাই ভালোবাসা।
অনেকেই মনে করেন দুজন মানুষ ভালোবেসে এক হয়ে সম্পূর্ণ একজন মানুষে পরিণত হয়, এটা ভুল কথা। নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রেখেই একে অপরকে ভালোবাসতে হয়।
বন্ধুত্ব রক্ষা করা
সঙ্গীর জন্য যদি নিজেদের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গ ত্যাগ করেন তাহলে এখনই তা বন্ধ করা উচিত।
ভারতীয় সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অমিশি গম্ভীর এই বিষয়ে ফেমিনা ডট ইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “সম্পর্কের বাইরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রক্ষা করা একে অপরের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা কমাতে সহায়তা করে।”
ভারতীয় মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র ‘হাউস অব হিলারস’য়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সম্মতি সান্যাম একমত পোষণ করে বলেন, “কোনো রকমের অপরাধবোধ ছাড়াই বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেক বিষয় থাকে যা কেবল বন্ধুর সঙ্গেই বলা যায়। সঙ্গীর সাথে নয়।”
নিজের কাজ করা
দুজনে একটা সম্পর্কে আছেন মানে এই নয় যে, প্রতিটা মুহুর্ত এক সঙ্গে থাকতে থাকতে হবে।
অমিশি পরামর্শ দেন যে, “সঙ্গির সাথে অভিজ্ঞতা ভাগ করাটাও মজাদার। তাই কিছু একক কাজও করা প্রয়োজন। সেটা বাগান করা, রান্না করা বা পছন্দের যে কোনো কাজ হতে পারে। এতে করে সম্পর্ক আরও উন্নত ও বিকশিত হয়।”
অতিরিক্ত সহভাগিতা না করাই ভালো
যদি সঙ্গিকে দিনের সব খুঁটিনাটি বিষয় বলে থাকেন তাহলে তা নিয়ে আরেকবার ভাবার প্রয়োজন আছে।
সম্মতি তার অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, “অতিরিক্ত শেয়ার করা মানসিক চাপ ও হতাশা বাড়াতে পারে। কিছু বিষয় বাদ দিয়ে মনের কথা খুলে বলায় দোষের কিছু নেই।”
ব্যক্তিগত অর্থ
বিবাহিত দম্পতিদের অনেকেরই ‘জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট’ থাকে। যদিও এটা আবশ্যক কিছু নয়। তবে নিজের আলাদা কিছু অর্থ-ব্যাবস্থা থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।
অমিশি বলেন, “ব্যক্তিগত অর্থের অ্যাকাউন্ট থাকা নিজেকে স্বনির্ভর হতে এবং বড় কিছু কেনাকাটায় প্রতিবার আলাপ আলোচনা করে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এটা কোনো গোপন কিছু নয় যে একে অপরকে বলা যাবে না। এটা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট। ফলে এটা নিয়ে সঙ্গীর সাথে কোনো রকম ঝামেলার সৃষ্টি হওয়ার কোনো বিষয় নেই।”