দুবাই এয়ার শোসহ আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চারদিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে উপসাগরীয় এ দেশটি সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী সফরসঙ্গীদের নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তাকে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার পর আনুষ্ঠানিক মটর শোভাযাত্রা সহকারে দুবাইয়ের হোটেল শাংরি-লায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুবাই সফরকালে এই হোটেলেই অবস্থান করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী রোববার বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ও সফল এবং এশিয়া ও আফ্রিকার বৃহত্তম এয়ারোস্পেস ইভেন্ট দুবাই এয়ার শো-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এ উপলক্ষে সারা বিশ্বের ৮৭ হাজার অংশগ্রহণকারী এবং ১ হাজার ৩০০ এক্সিবিটর দুবাইয়ের ভবিষ্যৎ বিমানবন্দর দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে সমবেত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী ১৭ থেকে ২১ নভেম্বর দুবাইয়ের আকাশে দ্বিবার্ষিক এই এয়ার শোটি অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুবাই সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এগুলোর দুটি হচ্ছে- দুই দেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি ও দুই দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি এবং আরব আমিরাতের দুবাইতে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী ভবন নির্মাণে জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত প্রটোকল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৮ নভেম্বর আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্ত ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণে নির্বাচন কমিশনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী দুবাইয়ের শাসক ছাড়াও আবুধাবির যুবরাজ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মুহাম্মদ বিন জায়ের আল নাহিয়ান এবং ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সুপ্রিম চেয়ারওমেন শেখ ফাতিমা বিনতে মোবারকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরব আমিরাতের বড় বিনিয়োগকারী গ্রুপ ও ব্যবসায়ীদের বৈঠকের কথা রয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ সফর বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখবে এবং দুই দেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চারদিনের আমিরাত সফর শেষে ১৯ নভেম্বর রাতে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।