পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে সব সড়ক বাঁক সোজা করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য বিশাল প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। মহাসড়ক ঘেঁষে যেখানে হাটবাজার গড়ে উঠেছে, সেখানে ফুটওভারব্রিজ করা হবে। যাতে মানুষ নিরাপদে পারাপার হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক প্রশস্ত করা হবে। তবে এগুলো তো একদিনে করা যাবে না, আমাদের সময় দিতে হবে।
রোববার সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কের গণিগঞ্জে বাস-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত সাত লেগুনাযাত্রীর স্বজনদের সমবেদনা জানাতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এমএ মান্নান আরও বলেন, দুর্ঘটনার ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। আমরা যখন সড়ক পার হই, গাড়িতে উঠি, তখন সাবধান হওয়ার দরকার। চালককে সাবধান হতে হবে, পথচারীকে সাবধান হতে হবে। আইন-কানুন মানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগের থেকে যানবাহনে চাপ অনেক বেড়েছে, গাড়িও অনেক বেড়েছে, দেশের উন্নতি হয়েছে বলেই তো এটি হয়েছে। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য, মাঝে মাঝে কাঁচা লোক গাড়ি চালায়। আবার অনেক গাড়ির ফিটনেসও নেই। এগুলোও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। এ সময় নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সহায়তা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেওয়া। দুর্ঘটনায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানোর ক্ষমতা কারও নেই। যারা সন্তান-ভাই হারিয়েছেন, তাদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সহমর্মিতা জানাতে এসেছি। তাদের দুঃখের সময় পাশে থাকতে চাই আমরা।
সহায়তা দেওয়ার সময় সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক, সংসদ সদস্য ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ, ছাতক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।