বগুড়ায় দুর্নীতির এক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বগুড়ার আদমদীঘিতে সরকারি একটি পাট ক্রয় কেন্দ্রের সম্পত্তি বিনা টেন্ডারে জাহানারা রশিদ নামে তার পরিচিত এক নারীর কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তী সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালায় এবং ঘটনার সত্যতা পায়।
এ ঘটনায় দুদক বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর জেলার আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং ওই পাট ক্রয় কেন্দ্রর সম্পত্তির ক্রেতা বগুড়া শহরের কালিতলা এলাকার প্রয়াত হারুণ-অর-রশিদের স্ত্রী জাহানারা রশিদ নামে এক নারীকেও আসামি করা হয়। পরে বাদীকেই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রায় ১৬ মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে অভিযুক্তকদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের (বিজেসি) আওতাধীন আদমদীঘি উপজেলার দরিয়াপুর মৌজায় ২ দশমিক ৩৮ একর জমি টেন্ডার ছাড়াই বিক্রির মাধ্যমে সরকারের ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
দুদকের বগুড়ার পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ জানান, চার্জশিট দাখিলের পর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
তিনি বলেন, ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে দুপুরে বিচারক শুনানি শেষে সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামি জাহানারা বেগম জামিনে রয়েছেন।