বিদেশ থেকে এলএনজি (তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানিকারক ব্যবসায়ী ও দুর্বৃত্তদের পকেট ভারী করতে গ্যাসের বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রতি চুলায় ১৭৫ টাকা করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা করা হয়েছে, শুধু তাদের যে ব্যবসায়ী, যারা এলএনজি গ্যাস আমদানি করছে, তাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য, তাদের পকেট ভারী করার জন্য। দুর্বৃত্তদের পকেট ভারী করার জন্য তারা (সরকার) এটা করেছে। এই সরকার একটা লুটেরা সরকার। তারা জনগণকে লুণ্ঠন করছে- এটাই মূল কথা।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (এ্যাব) উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাজেটের মাধ্যমে একদিকে জনগণের সম্পদকে লুট করে নিচ্ছে, অন্যদিকে তারা গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে আরও বেশি করে সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই সরকার এক এক করে রাজনৈতিক জীবনে, অর্থনৈতিক জীবনে ও সামাজিক জীবনে এক ভয়াবহ সংকটের সৃষ্টি করেছে।
এ দেশের মানুষ অসহায় অবস্থায় আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনো রকম আশ্রয় ছাড়া, কোনো রকম আইনের শাসন ছাড়া তারা করুণ অবস্থার মধ্যে বসবাস করছে। তারা পরিকল্পতভাবে এই সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। এই সঙ্কট সৃষ্টি করে তারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বারবার বলেছি, আবারও বলছি- বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন। অবিলম্বে এই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধিনে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের সংসদ এবং জনগণের সরকার তৈরি করে এই সংকট সমাধান করুন। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, কখনো কোন একনায়ক, ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচার শাসক দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারেনি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তারা পরাজিত হয়েছে। আর এর মাধ্যমে জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বর্তমান দানব সরকারকেও পরাজিত করবে।
এ্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মো. মহসিন আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতা রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কাদের গণি চৌধুরী, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, জাকির হোসেন প্রমুখ।