বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারি ত্রাণ জনগণের টাকায় কেনা। সেই ত্রাণ সাধারণ জনগণ পাচ্ছে না। ত্রাণের চাল-তেল-ডাল পাওয়া যাচ্ছে আওয়ামী লীগের মেম্বার-চেয়ারম্যানের বাড়িতে। দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির মধ্যে চাল চোরদের উৎসব চলছে।
মঙ্গলবার কাফরুল থানা বিএনপির উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও ছিলেন ড্যাবের ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
রিজভী বলেন, দেশে একটা কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব মহামারির মধ্যে পতিত হয়েছে। এর কারণে প্রত্যেকটি মানুষ আতঙ্ক ও শঙ্কার মধ্যে দিন যাপন করছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে সচেতন বা করোনা প্রতিহত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ৮ মার্চ ৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। সরকার তখনো কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত ছিল।
তিনি বলেন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামে আগাম প্রস্তুতির কারণে করোনার তেমন আক্রমণ হয়নি। তারা আগে থেকেই মানুষকে সচেতন করতে পেরেছে। কিন্তু আমাদের দেশে তা করা হয়নি। সরকার কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বাংলাদেশে করোনা মহামারি আকার ধারণ করছে। কিন্তু আমরা কি দেখছি নিম্ন আয়ের মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তারা খাবার সংগ্রহ করতে পারছে না। তারা ক্ষুধার জ্বালায় হাহাকার করছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হয়েছে।
রিজভী বলেন, মহামারির মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুষ্টিয়ায় একজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সরকার মনে করছে বিএনপি যেভাবে মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে, ত্রাণ বিতরণ করছে তাতে তাদের মুখ আর থাকছে না। সরকারি দলের লোকেরা ত্রাণ চুরি করছে আর বিএনপির লোকেরা পকেটের টাকায় ত্রাণ দিচ্ছে। এজন্য সরকার জুলুমের পথ বেছে নিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। তারা যতই গ্রেপ্তার করুক আমরা এই মহামারিতে মানুষের পাশে আছি এবং থাকব।