শাহবাগ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ) পর্যন্ত গোটা এলাকা দৃষ্টিনন্দন করতে সরকার এখানকার প্রধান প্রধান ভবন ও স্থাপনা নান্দনিক নকশায় নতুন করে নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে। এলাকাটিকে একটি ভিন্ন চেহারা দিতে এখানকার চারটি বৃহৎ স্থাপনা- জাতীয় জাদুঘর, গণগ্রন্থাগার, ঢাবি শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র (টিএসসি) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নতুন করে নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
টিএসসির উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬০-এর দশকে টিএসসি যখন নির্মাণ করা হয়, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার। কিন্তু এখন এর ছাত্র-শিক্ষক সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এই বিপুল সংখ্যক ছাত্র-শিক্ষকের জন্য আরও বড় জায়গা ও সুযোগ-সুবিধা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়া টিএসসি মিলনায়তন ও ক্যাফেটেরিয়া বেশ কয়েক দশকের পুরনো। সরকার টিএসসিকে এমনভাবে নির্মাণ করবে, যাতে টিএসসি কমপ্লেক্সে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয়ের স্থান সংকুলান হয়।
টিএসসিতে একটি আন্তর্জাতিক মানের মিলনায়তন নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, টিএসসি কমপ্লেক্স উন্নয়নে ইতিমধ্যে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।