আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাপ নিয়ে গবেষণায় সংবিধিবদ্ধ সংস্থা তৈরিতে একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
নতুন এই আইনের অধীনে গবেষণাগার হলে রাসায়নিক পরীক্ষা করতে বিদেশ যেতে হবে না। উল্টো অন্য কোনো দেশ এখান থেকে রাসায়নিক পরীক্ষা করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (ডিআরআইসিএম) বাংলাদেশ আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞান উন্নয়নের জন্য দেশের একমাত্র রেফারেন্স ইনস্টিটিউটের (ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস- ডিআরআইসিএম) কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এটাকে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা করা হবে।
“কিছু দিনে আগে দুধে রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরে মাদ্রাজ থেকে দুধ পরীক্ষা করিয়ে আনা হয়। এই ইনস্টিটিউ হলে আইএসও স্ট্যান্ডার্ডে রাসায়নিক পরীক্ষা করে সনদ দেওয়া সম্ভব হবে।”
রাসায়নিকের পরিমাপ পরীক্ষা করার জন্য ২০১২ সালের ১০ জুন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) অধীনে সর্বোচ্চ জাতীয় রেফারেন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিআরআইসিএম চালু করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞানে গবেষণায় সর্বপ্রথম ও একমাত্র রেফারেন্স ইনস্টিটিউট এটি। ওষুধ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞান বিষয়ে সব গবেষণার সুযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
নতুন আইনে এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংবিধিবদ্ধ ইসস্টিটিউটটে রূপান্তরিত হবে, যার প্রধান হবেন মহাপরিচালক। এখন এটির সর্বোচ্চ পদ পরিচালক, যেখানে দায়িত্ব পালন করছেন বিসিএসআইআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মালা খান।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিএসটিআইয়ের সঙ্গে এই ইসস্টিটিউট সাংঘর্ষিক হবে না। কারণ তারা পণ্য পরীক্ষা করে। এখানে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে এবং এটা আন্তর্জাতিক মানের হবে।
“যেসব দেশে এই সুবিধা নেই তারাও রাসায়নিক পরীক্ষায় আমাদের এখানে পাঠাতে পারবে। এখন আমরা অনেক কিছু পরীক্ষা করাতে বিভিন্ন দেশে পাঠাই।”