তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আকাশ-সংস্কৃতির হিংস্রযুগে দেশের মৌলিক সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রেখেছে বাউল সংগীত। লোকসংগীত, বাউলগান আমাদের শেকড়। এই সংগীত জীবন ও আত্মার কথা বলে। সব সংগীত মনকে পরিশুদ্ধ করে না, আমাদের সংস্কৃতির সাথেও যায় না।’
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন আজ সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার পূর্ব ভাকুমে মধুর মেলা প্রাঙ্গণে বার্ষিক মধুর মেলা ও মঞ্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
প্রয়াত মধু বাউলের মেয়ে এমপি মমতাজ বেগম সভাপতিত্বে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আকাশ-সংস্কৃতির হিংস্র থাবা আর আধুনিক নানা বাদ্যযন্ত্রের দৌরাত্ম্যের মধ্যে দোতারার সংগীত যে এখনও টিকে আছে, সেটিই বাউলগানের বৈশিষ্ট্য। মমতাজ বেগমসহ বাউল শিল্পীরা যখন গান করেন, তখন তাদের সাথে শ্রোতাদের একটা মনের যোগাযোগ স্থাপিত হয়, তারা মানুষের মনের কথা বলেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সেই জন্যই শত শত বছর বাউলগান বেঁচে আছে, আরো হাজার বছর থাকবে। রবীন্দ্র সংগীতও একই কারণে শতবছর বেঁচে আছে।’ সংসদ সদস্য হবার পরও মমতাজ বেগম এখনও যে বাউল মেলা ও সারাদেশ থেকে বাউলদের নিয়ে এসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন, বাউল কেন্দ্র স্থাপন করছেন, এজন্য তাকে মন্ত্রী তার নিজের ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তথ্যমন্ত্রী এসময় সিঙ্গাইরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এ উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জাদুকরী উন্নয়নেরই ফসল। মধুর মেলা মঞ্চ উদ্বোধনের পর সেখানে একটি বৃক্ষচারা রোপণ করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেলা রহমতুল্লাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় রবিউল আলম ও শারমিন আক্তার, মানিকগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ফৌজিয়া বেগম, নাট্যনির্দেশক দেবাশীষ দীপ, সাংবাদিক কামরুজ্জামান হিমু প্রমুখ।