সারাদেশে এখন পর্যন্ত যে ২ হাজার ৯৪৮ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন, তার মধ্যে ১৭০ জন চিকিৎসক বলে জানিয়েছে এই পেশাজীবীদের একটি সংগঠন।
এর মধ্যে এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুজন। চারজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এছাড়া অনিরাপদ অবস্থায় আক্রান্ত সহকর্মী কিংবা রোগীর সংস্পর্শে আসায় চারশ’ জনের বেশি চিকিৎসক কোয়ারেন্টিনে আছেন।
বাংলাদেশে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফোরাম- বিডিএফ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে।
তাদের হিসাবে প্রায় ৮০ জন নার্সসহ তিনশ’ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছেন।
বিডিএফের তথ্যানুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ১৪৩ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৯৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩৩ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৮ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগে সরকারি হাসপাতালগুলোয় ৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জনের মধ্যে ৬ জন সরকারি হাসপাতালের-একজন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।
এছাড়া বরিশাল বিভাগে ৬ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে একজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ এপ্রিল মারা গেছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মঈন উদ্দিন।
বাংলাদেশে মারা যাওয়া ১০১ জন কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে তিনিই একমাত্র চিকিৎসক।
বিডিএফের প্রধান সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ডা. নিরুপম দাশ বলেন, মানসম্মত সুরক্ষা উপকরণের অভাব এবং রোগীরা তথ্য গোপন করায় চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা।
“আমরা মনে করি ফল্টি পিপিইর কারণে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছে। পিপিই নাই এ কথা আমরা বলছি না। কিন্তু মানসম্মত পিপিইর অভাব রয়েছে। এছাড়া রোগীরা হাসপাতালে এসে তথ্য গোপন করছেন, চিকিৎসকরা আক্রান্ত হওয়ার এটাও বড় কারণ বলে মনে করি।”
এই সঙ্কটকালে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিতের উপর জোর দিয়েছে বিডিএফ।