দেশে নতুন করোনাভাইরাসে এক দিনে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ৯৫০ জনের মধ্যে।
শনিবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৯৫০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৫ জন হল।
গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৪৪৭ জনে দাঁড়াল।
আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৬৬১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৫২ জন হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫.১৮ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৭.৩৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচেনায় মৃত্যুর হার ১.৩৭ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৫ অগাস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৩টি ল্যাবে ১২হাজার ৮৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৮টি নমুনা।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন, নারী ১০ জন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের ২০ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের, ৬ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের ও ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৪৪৭ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪৭৯ জনই পুরুষ এবং ৯৬৮ জন নারী।
তাদের মধ্যে ২ হাজার ২১৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ২১৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫৮৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৭০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১০৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
মোট মৃতদের মধ্যে ২ হাজার ১৫৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৯৫৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৯৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩৭১ জন খুলনা বিভাগের, ১৭৩ জন বরিশাল বিভাগের, ১৯৮ জন সিলেট বিভাগের, ২০৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ৯৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।