নতুন করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বশেষ এই পরিস্থিতি তুলে ধরে।
গত ২৪ শনাক্ত ১ হাজার ৩৩৫ জনকে নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৫৮৬ জন।
আরও ২০ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা পৌঁছছে ৫ হাজার ৮৩৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৫২৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ১৮ হাজার ১২৩ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৬ অক্টোবর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ লাখ ৬০ হাজারের ঘরে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে অষ্টাদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১১টি ল্যাবে ১২ হাজার ৬১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৯৬৪ টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ২২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী ৬ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্য, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০, ২১ থেকে ৩০ ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের ১৭ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৮৩৮ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৪৯৪ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৩৪৪ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৩৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৫৪৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭২৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩২২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৩২ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১৫৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৬৫ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৮ জন বরিশাল বিভাগের, ২৪২ জন সিলেট বিভাগের, ২৬১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১২১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।