দেশে চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু সেপ্টেম্বরেই

1599735065.bg

চীনের সিনোভেক কোম্পানির করোনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ এ মাসের মধ্যেই শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পোলিও বিষয়ক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. কে জামান।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

চীনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিআরও) হিসেবে কাজ করছে আইসিডিডিআরবি। চীনের সিনোভেক কোম্পানির তৈরি করোনা ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে (ট্রায়াল) বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) অনুমোদন দিয়েছিল। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তখন বলেছিল, নৈতিক অনুমোদন যথেষ্ট নয়, ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত দেবে সরকার। এরপর গত ২৭ আগস্ট মন্ত্রণালয় চীনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দেয়।

চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ কবে নাগাদ বাংলাদেশে শুরু হবে জানতে চাইলে ড. কে জামান বলেন, বিএমআরসি আমাদের ট্রায়ালের জন্য ১৭ জুলাই অনুমোদন দেয়। মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ২৭ আগস্ট অনুমতি পেয়েছি। সেদিন রাতেই আমরা সিনোভেক কোম্পানিকে অনুমোদনের বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছি। যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয়, আমরা সেগুলো তাদের পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা তাদের ভ্যাকসিন পাঠাতে বলেছি। আমি আজও সিনোভেকের সঙ্গে কথা বলেছি। পরবর্তী সপ্তাহে পাঠানোর কথা রয়েছে। তবে তারাও নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না। কারণ এখানে সরকার এবং কাস্টমের বিষয় জড়িত রয়েছে। তবে আমি আশাবাদী এ মাসের মধ্যেই প্রথম পার্টিসিপেন্ট এনরোলমেন্ট করতে পারব। যদি তার আগে সম্ভব হয়, তাহলে তো সেটা আরও ভালো হবে।

চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে বাংলাদেশের সুবিধা কী, প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমানে কোন কোন দেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ফেস-থ্রি ট্রায়াল হচ্ছে এটা সবাই জানে। ট্রায়াল হলে বাংলাদেশও ফেস-থ্রি ট্রায়ালের দেশের কাতারে চলে যাবে। এটা দেশের জন্য অনেক বড় সম্মানের বিষয়।

তিনি বলেন, দেশের বহু মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেই ভ্যাকসিনের ফেস-থ্রি ট্রায়াল যদি আমাদের দেশে হয়, সেটাতো আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। অন্য দেশ থেকে ভ্যাকসিন আনলে, তাদের সঙ্গে আমাদের খাবার-দাবার এবং জীবনযাপন, মিউটেশন, ইমিউনিটিসহ প্রায় সবকিছুর পার্থক্য থাকবে। এক্ষেত্রে সেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল যদি বাংলাদেশে হয়ে থাকে, তাহলে সেটা আমাদের জন্য বড় ধরনের সুবিধা পাওয়া। বড় বিষয় হচ্ছে সিনোভেক কোম্পানির সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, তারা আমাদের দেশের কোনো ওষুধ কোম্পানিকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং ট্যাকনিক্যাল সহায়তা দেবে।

Pin It