বাংলাদেশে নির্মাণের ঝড় উঠেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ যে উন্নত হচ্ছে তা রাস্তায় বের হলেই দেখা যায়। নির্মাণ শিল্পের যে ঝড় উঠেছে তার প্রমাণ পাই রাস্তায় বের হলেই। যেখানেই যাই সেখানেই চোখে পড়ে নির্মাণযজ্ঞ। রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় লোহা, পাথর, সিমেন্ট, বালুসহ নানা নির্মাণ সামগ্রী, যা দিয়ে তৈরি হচ্ছে বড়-বড় ভবন।”
শুধু নির্মাণ শিল্প নয়,অন্য ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।”
রোবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘নির্মাণ মেলা-২০১৯’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,“এই নির্মাণ যজ্ঞের কারণে দেশে স্থাপত্যবিদ্যা সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা আগে ছিল না। নির্মাণ যে একটি শিল্প এখন মানুষ তা বুঝতে পেরেছে।”
শুধু নির্মাণ শিল্পে নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিনির্মাণেও বড় ঝড় উঠেছে বলে জানান মান্নান।
নির্মাণ মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি)। তিন দিনব্যাপী এ মেলায় ৭৮টি স্টল রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এতে অংশ নিয়েছে ২১টি দেশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএবির সভাপতি জালাল আহমেদ, সাবেক সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন, আর্কএশিয়া ফোরাম২০ এর আহ্বায়ক আবু সাঈদ এম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় ২১টিরও বেশি দেশের নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন, আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়েছে। স্টল রয়েছে ৭৮টি।
‘আর্কএশিয়া ফোরাম-২০’ শীর্ষক এশীয় স্থপতিদের সম্মেলনের পাশাপাশি এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
দি আর্কিটেক্টস্ রিজিওনাল কাউন্সিল এশিয়া-আর্কএশিয়া সদস্য দেশগুলোর স্থপতিদের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সভাপতিদের সমন্বয়ে গঠিত। সংগঠনটি সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আঞ্চলিক কার্যক্রম এবং সম্পর্ক প্রসারে কাজ করে থাকে।
আর্কএশিয়া ১৯৬৭ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
আর্কএশিয়ার বর্তমান সদস্য দেশ ২১টি। এগুলো হলো-ভুটান, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, ব্রুনেই, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ম্যাকাউ, চীন, হংকং, জাপান, কোরিয়া এবং মঙ্গোলিয়া।