দেশে ১২ বছরের কমবয়সীদেরও কোভিড টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার, আর তাদের দেওয়া হবে ফাইজারের টিকা।
৫ থেকে ১২ বছর বয়সী এই শিশুদের টিকা নিতে জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সোমবার কম বয়সী শিশুদেরও টিকাদানের পরিকল্পনা নেওয়ার কথা বলেন।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার মধ্যে ক্ষুদেদেরও টিকার আওতায় আনতে যাচ্ছে সরকার।
তবে কবে নাগাদ এই টিকা দেওয়া হবে, তা এখনও অনিশ্চিত।
ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, “আমরা এখনও তারিখ নির্ধারণ করি নাই। আমাদের কাছে শিশুদের জন্য তৈরি ফাইজারের এসে পৌঁছায়নি। টিকা ছাড়াও শিশুদের টিকা দেওয়ার উপযোগী করে তৈরি করা পয়েন্ট টু এমএলের সিরিঞ্জ লাগবে। এসব সরঞ্জাম যখন আসবে তখন আমরা তারিখ নির্ধারণ করব।”
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ষাটোর্ধ্বদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে টিকা পাওয়ার নির্ধারিত বয়সসীমা কমিয়ে আনা হয় ১৮ বছরে।
১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হয় গত বছর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, রোববার পর্যন্ত সারাদেশে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১১ কোটি লাখ ৯১ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষকে।