ছাত্রশিবিরের সবশেষ প্রকাশ্যে সদস্য সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালে।
দেড় দশকের বেশি সময় পর প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
আগামী বছরের জন্য জামায়াতে ইসলামীর এই ছাত্র সংগঠনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনীত হয়েছেন নুরুল ইসলাম।
ছাত্রশিবিরের সবশেষ প্রকাশ্যে সদস্য সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালে।
আওয়ামী লীগের পতন হলে সংগঠনটি প্রকাশ্যে কার্যক্রম শুরু করে; তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংগঠনটি কেন্দ্রীয় সম্মেলন করে।
ছাত্রশিবিরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন রাত ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।
ছাত্রশিবিরের সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি ২০২৪ সেশনের জন্য কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে নুরুল ইসলামকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনয়ন দেন।
নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এর আগে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, প্রকাশনা সম্পাদক, আন্তর্জাতিক সম্পাদক, বিতর্ক সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচআরএম বিভাগে এমবিএ অধ্যয়ন করছেন।
নতুন সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম এর আগে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, প্লানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সম্পাদক, শিক্ষা সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচআরএম বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়ন করছেন।
সকালে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, “বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছিল। চর দখলের মত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখল করা, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও আধিপত্যবাদ বজায় রাখতে ক্যাম্পাসগুলোকে অস্ত্রাগারে পরিণত করেছিল।
“জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই ব্যবস্থার কবর রচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশে আর কোনো চাঁদাবাজ, আধিপত্যবাদ ও দখলবাজের স্থান হবে না ইনশা আল্লাহ।”
জামায়াত আমির বলেন, “বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী দুঃশাসন বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে ছাত্র ও যুবসমাজ কোনো দুঃশাসন মেনে নেয় না, সেটা চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানে প্রমাণিত হয়েছে।
“স্বাধীনতার সাফল্যকে হাইজ্যাক করে একটা রাজনৈতিক দল দেশে এক দলীয় শাসন কায়েম করে রেখেছিল। কিন্তু ছাত্রসমাজ ১৫ বছরের মাথায় তাদের সেই দুঃশাসনকে পরাজিত করে নতুন বাংলাদেশের শুভ সূচনা করেছে। বাংলাদেশে আর কোনো আধিপত্যবাদ ও দুঃশাসন এদেশের জনগণ মেনে নিবে না।”