মুম্বাইয়ের ডা. মারওয়াহ’স ক্লিনিকের ত্বক বিশেষজ্ঞ ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ডা. গুর্জত মারওয়াহ টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ব্যবহৃত প্রসাধনী ভালো মতো ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বকের প্রথম স্তর সক্রিয়। আর এর ওপর ভিত্তি করে প্রসাধনী নির্বাচন করতে হয়।”
‘পিগমেন্টেশন’, ত্বকের পানিশূন্যতা, বয়সের ছাপ- সমস্যা বুঝে সে অনুযায়ী প্রসাধনী, যেমন হায়ালুরনিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, নায়াসিনামাইড ব্যবহার করা হয়।
পরের ধাপ হল ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন। তৈলাক্ত ত্বকে জেল ভিত্তিক এবং শুষ্ক ত্বকে ক্রিম ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়।
শেষ ধাপ হল এসপিএফ ৩০ বা এর বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার। যারা মেইকআপ করে বাইরে যান তাদের সানস্ক্রিনযুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত।
ডা. গুর্জত মারওয়াহ আরও বলেন, “সন্ধ্যায় ত্বক ভালো মতো পরিষ্কার করতে হবে। সংবেদনশীল বা শুষ্ক ত্বক সাবানমুক্ত ক্লেঞ্জার দিয়ে এবং তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করতে সাধারণ ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে।”
তারপর ব্যবহার করতে হবে সক্রিয় উপাদান যেমন- হায়ালুরনিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, নায়াসিনামাইড বা রেটিনল। শেষ ধাপে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
তিনটি বিষয় মনে রাখতে হবে
প্রতিটা ধাপের মাঝে ৬০ সেকেন্ড বিরতি দিতে হবে। কারণ ত্বকে প্রসাধনী শোষিত হতে কিছুটা সময় নেয়।
এই ধাপগুলো মেনে চলার বিজ্ঞান সম্মত কারণও রয়েছে। অপেক্ষাকৃত হালকা বা গভীরে শোষিত হয় এমন প্রসাধনী আগে ব্যবহার করতে হবে। পরে ভারী প্রসাধনী ব্যবহার করতে হয়।
সাধারণত ত্বকে তিন স্তরের বেশি কোনো প্রসাধনী শোষিত হয় না।
নিজের মতো রুটিন তৈরি করে নেওয়া
ত্বকের ধরন বুঝে পরিচর্যার রুটিন নির্ধারণ করার পরামর্শ দেন ডা. গুর্জত মারওয়াহ।
বয়স ত্রিশের শুরুতে ‘অ্যান্টিএইজিং’ উপাদান সমৃদ্ধ প্রসাধনী যেমন- হায়ালুরনিক অ্যা্সিড বা সেরামাইড ব্যবহার করতে হবে। এই শক্তিশালী উপাদানগুলো নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক মসৃণ ও তারুণ্যময় হয়ে ওঠে।
উপকরণগুলো ত্বকের তারুণ্য ও স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই সহজ বিষয়। কেবল নিয়মিত তা অনুসরণ করে যেতে হবে। তবে বাড়তি কোনো সমস্যা হলে সে অনুযায়ী বাড়তি যত্ন নিতে হবে।