ফাইনালে ২৪ রানে জিতেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। ১৫৭ রান তাড়ায় ৮ উইকেটে ১৩৩ রান করে দোলেশ্বর।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ফারদিন হাসানের সঙ্গে ৬২ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন ইমতিয়াজ। এক ছক্কায় ১৮ রান করা ফারদিনকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মানিক খান। দ্রুত ফিরে যান হাসানুজ্জামান ও নাসির হোসেন।
অফ স্পিনার আরাফাত সানি জুনিয়রের এক ওভারে তিন চার ও এক ছক্কায় ২০ রান নেওয়া ইমতিয়াজ পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৪০ বলে। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা এই অভিজ্ঞ ওপেনারকে বোল্ড করে থামান বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি। ইমতিয়াজ ৪৪ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারে ফিরেন ৫৬ রান করে।
আগের ম্যাচে ঝড় তোলা জিয়াউর রহমানকে ২ রানে বিদায় করেন ফরহাদ রেজা। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া শেখ জামালকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন সোহান ও তানবীর হায়দার। ষষ্ঠ উইকেটে ৪.৩ ওভারে গড়েন ৪৯ রানের জুটি।
লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার তানবীর ১৫ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় করেন ৩১। ২৭ বলে তিন চারে ৩৩ রান করেন কিপার-ব্যাটসম্যান সোহান। পরপর দুই বলে তাদের ফিরিয়ে ইনিংসের শেষ বলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান রেজা। তাকে হতাশ করে চার হাঁকান ইলিয়াস সানি।
রান তাড়ায় সাইফ হাসানের সঙ্গে পঞ্চাশ ছোঁয়া উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন সানি জুনিয়র। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ৭.২ ওভার শেষে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। দলের ৫৫ রানে ২৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় তিনি করেছিলেন ৩৩।
পরের ওভারে ফিরে যান দুই ছক্কা ও এক চারে ২৮ বলে ২৬ রান করা সাইফ। এরপর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি দোলেশ্বর। দুই অঙ্কে যেতে পারেননি মার্শাল আইয়ুব, ফরহাদ হোসেন, মাহমুদুল হাসান ও সৈকত আলী।
আশা হয়ে টিকে ছিলেন অধিনায়ক রেজা। বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দারুণ চেষ্টা করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে ২০ বলে পাঁচ ছক্কা ও দুই চারে ৪৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংসেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন পেসার শহিদুল ইসলাম। তরুণ লেগ স্পিনার মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি মাত্র ১০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
দায়িত্বশীল ৫৮ রানের জন্য ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন শেখ জামালের ওপেনার ইমতিয়াজ।
২২৭.৬৫ স্ট্রাইক রেটে ১০৭ রান ও ৮.৯০ গড়ে ১১ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন দোলেশ্বর অধিনায়ক রেজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ২০ ওভারে ১৫৭/৭ (ফারদিন ১৮, ইমতিয়াজ ৫৬, হাসান ৪, নাসির ৫, সোহান ৩৩, জিয়া ২, তানবীর ৩১, ইলিয়াস সানি ৪*, শহিদুল ০*; সানি জুনিয়র ০/২৪, আরাফাত সানি ১/২৫, এনামুল জুনিয়র ১/৩০, মানিক ১/১২, রেজা ৩/৩২, সৈকত ১/৩১)
প্রাইম দোলেশ্বর: ২০ ওভারে ১৩৩/৮ (সাইফ ২৬, সানি জুনিয়র আহত অবসর ৩৩, মার্শাল ৩, ফরহাদ ৬, মাহমুদুল ৩, রেজা ৪৫, সৈকত ২, আসলাম ৩, মানিক ৩, আরাফাত সানি ৩*, এনামুল জুনিয়র ০; নাসির ০/২৬, শাকিল ২/৪১, ইলিয়াস ১/৩৬, শহিদুল ৪/১৯, আফ্রিদি ১/১০)
ফল: শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ২৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইমতিয়াজ হোসেন
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: ফরহাদ রেজা