দৌড়ানো বা ‘কার্ডিও’ ব্যায়ামে হাঁপানো স্বাভাবিক। তবে কতক্ষণ ?
নিউ জার্সি’র ‘আটলান্টিক মেডিকাল গ্রুপ’য়ের বোর্ড স্বীকৃত ‘কার্ডিওলজিস্ট’ সিডনি গ্লাসোফার বলেন, “দৌড়ানো কিংবা যে কোনো ‘কার্ডিও’ ব্যায়াম করলে হাঁপিয়ে যাবেন, বুক ধড়ফড় করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তা কতক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হওয়া ‘স্বাভাবিক”?
এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হল, এই সময়কাল মানুষ ভেদে ভিন্ন। যদি দ্রুত সামলে ওঠেন তবে বুঝতে হবে আপনার হৃদযন্ত্র সার্বিকভাবে সুস্থ আছে।
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “তবে সময় একটু বেশি লাগলে আতঙ্কিত হতে হবে এমনটা নয়। হৃদযন্ত্র একটা পেশি, আর অন্যান্য সব পেশির মতো এরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয়। আর সেই প্রশিক্ষণ আর কিছুই না, ওই ব্যায়ামই।”
“দৌড়ানো অত্যন্ত উপকারী একটা ব্যায়াম। এটি হৃদযন্ত্রের রক্ত ‘পাম্প’ করার গতি বাড়িয়ে দেয় এবং পুরো হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজার রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কদিন দৌড়ালেই যে কাজ হবে তা কিন্তু নয়। নিয়মিত দৌড়ানোর অভ্যাস করতে হবে, ক্রমেই মাত্রা বাড়াতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক ‘অ্যাকাডেমিক মেডিকাল সেন্টার’ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’য়ের মতে, প্রতিদিন হৃদযন্ত্র স্পন্দিত হয় গড়ে ১০ হাজার বার এবং পুরো শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে। হৃদযন্ত্রের সঞ্চালন করা রক্তের একটি সরলরেখা আঁকলে তা প্রায় ৬০ হাজার মাইল লম্বা হবে।
তো বুঝতেই পারছেন, অনেক রক্ত সামাল দেয় ছোট এই অঙ্গ। আর যখন আপনি ব্যায়াম করছেন তখন হৃদযন্ত্র বাড়তি গতিতে কাজ করে। তার জন্য ব্যবহার হয় বাড়তি পুষ্টিগুন ও অক্সিজেন।
এভাবেই হৃদযন্ত্রের প্রশিক্ষণ হয়, তা আরও শক্তিশালী ও কর্মক্ষম হয়ে ওঠে। আর তার প্রমাণ পাবেন কীভাবে? দেখবেন যতই দৌড়ানোর অভ্যাসে নিয়মিত হচ্ছেন ততই আপনি কম সময়ে হাঁপিয়ে ওঠা সামলে নিতে পারছেন।
ডা. গ্লাসোফার বলেন, “হাঁপিয়ে ওঠা সামলে নেওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তি নির্ভর। ব্যক্তি যত হৃদযন্ত্রকে প্রশিক্ষণ দেবে ততই তা আরও বেশি কর্মক্ষম হয়ে উঠবে। শুরু করুন আধা ঘণ্টা হালকা গতির দৌড় দিয়ে। যাকে জগিং বলা যেতে পারে।”
“এক থেকে দুই সপ্তাহ তা চালিয়ে যান। এরপর চেষ্টা করুন গতি বাড়াতে, দূরত্ব বাড়াতে। দেখবেন একদম শুরুর দিন যে আপনি দুই মিনিট জগিং করেই চোখে অন্ধকার দেখছিলেন সেই আপনি এখন দুই মিনিট দৌড়াতে পারছেন অনায়াসে।”