রোববার একটি পর্বতারোহী দলের সঙ্গে পাকিস্তানের কারাকোরাম পর্বতমালার কে২ বেইজ ক্যাম্পে পৌঁছার কথা নিজের ইনস্টাগ্রাম পাতায় জানান ওয়াসফিয়া।
স্থানীয়ভাবে চোগোরি নামে পরিচিত কে২ পর্বতের পাশাপাশি ব্রড পিকেও উঠবে ওয়াসফিয়ার দল। ব্রড পিক স্থানীয়ভাবে পরিচিত ফাইচান কাংরি নামে।
ইনস্টাগ্রামে বেইজ ক্যাম্পে নিজের ছবি দিয়ে ওয়াসফিয়া লিখেছেন, কে২ এর হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা। পুরো সময়ে নেটওয়ার্ক না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করছি।
আরেকটা ছবি দিয়ে এভারেস্টজয়ী এই বাংলাদেশি নারী বলেন, “মহান পিতা চোগোরিকে বা কে২ দেখে পুরো সময় কেঁদেছি আমি।”
’হিংস্র পর্বত’ নামে পরিচিত কে২ অনেক পর্বতারোহীর বিবেচনায় এভারেস্টের চেয়েও দুর্গম। পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে ৮ হাজার ৬১১ মিটার উঁচু।
কারাকোরাম পর্বতমালার আরেকটি শৃঙ্গ ব্রড পিকও সামিট করবেন ওয়াসফিয়ারা। এর উচ্চতা ৮ হাজার ৬৮ মিটার।
গত ১৪ জুন এক ফেইসবুক লাইভে নিজের কারাকোরাম পর্বত জয়ের পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন ওয়াসফিয়া।
তিনি বলেন, কারাকোরাম দুই শৃঙ্গ পাড়ির এই অভিযান দুই থেকে আড়াই মাসের। কে২ বেইজ ক্যাম্প থেকেই দুতো ৮ হাজার মিটারের উচ্চতার পর্বতারোহণ করবেন তারা। প্রথমে ব্রড পিকে যাবেন, তারপরে কে২ তে।
দেশবাসীর দোয়া প্রত্যাশা করে ওয়াসফিয়া বলেন, “দুইটা ৮ হাজার মিটারের চূড়ায় পরপর উঠা সহজ কথা নয়। আমরা আমাকে দোয়ায় রাখবেন।”
পর্বতারোহীদের জন্য দুর্গম হওয়ার কারণে কে২-তে যাওয়া মানুষের সংখ্যা অত বেশি না হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “স্পেসে যত মানুষ গেছে, তার চেয়ে কম মানুষ গেছে কে২ তে। মানে খুব কম মানুষই কে২ তে যাওয়ার অ্যাটেম্প করেছে।
“শুধু প্রথম বাংলাদেশি নারী যাচ্ছে সেখানে। এই পর্বতে নারীরা সেভাবে সাহস করে না বলা হয়। আমাদের দলে আছে ৬ জন নারী।”
সেখানকার পরিবেশ দুর্গম হওয়ার কথা তুলে ধরে ওয়াসফিয়া বলেন, “কারাকোরামের ভিন্ন ব্যাপার হচ্ছে ক্রেজি ওয়েদার। এভারেস্ট থেকেও এটা ভিন্নতর। শুষ্ক আর রুক্ষ আবহাওয়া।”
২০১২ সালের ২৬ মে ওয়াসফিয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেন। তিনি সেভেন-সামিটিয়ার বা পৃথিবীর সাত মহাদেশের সব বড় পর্বতজয়ী একজন।
এবার কারাকোরামের পর্বত জয়ে তাদের দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নেপালি পর্বতারোহী মিংমা তেনজি শেরপা।