ঢাকার ধামরাই উপজেলায় বাসের ভেতর এক নারী শ্রমিককে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যার অভিযোগে চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে বাসচালককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
এর আগে রাতে ধামরাইয়ের হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি ঝোপের মধ্য থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের শাজাহান মিন্টুর মেয়ে মমতাজ বেগম (১৮) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকায় প্রতীক সিরামিকস কারখানায় প্রায় ৬ মাস ধরে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। প্রতিদিনের মতো কাজে যোগদানের উদ্দেশে শুক্রবার ভোরে তার মা জুলেখা তাকে গাড়িতে তুলে দেন। দিন শেষে মেয়ে আর বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেন। না পেয়ে তার বাবা শুক্রবার রাতে ধামরাই থানায় একটি জিডি করেন।
তারা আরও জানান, ওই রাতেই পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ধামরাই উপজেলার কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে হিজলীখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গল থেকে মমতাজের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই রাতেই বাসসহ চালক সোহেলকে (২৫) উপজেলার জেঠাইল এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বাড়ি রাজবাড়ি জেলায় বলে জানা গেছে।
ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘থানায় জিডি হওয়ার পরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। রাতেই আমরা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করি। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া তার কামিজ ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাসের চালককে গ্রেপ্তার ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) রাসেল মোল্লা জানান, আটক বাসচালকের মুখে, হাতে ও গলায় নখের আচড়ের চিহ্ন রয়েছে। তরুণীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।