সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হয়েছে। তবে কার্যকরের প্রথম সাতদিন নতুন আইনে কোনো মামলা হবে না। এই সময়ে প্রচারণা চালাবে সরকার। শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে বিআরটিএ’র কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা কমে যাওয়াসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এই আইন কার্যকরের জন্য এখন সারা বাংলাদেশে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এই সময়ে কোনও পরিবহনের বিরুদ্ধে নতুন আইনে মামলা দায়ের না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এরই মধ্যে জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ সময় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ড. আহসানুল করিম, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। আইনে রয়েছে নিয়োগপত্র ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যক্তিকে গণপরিবহনের চালক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে না। নিয়োগপ্রাপ্ত চালক তার কাগজপত্র গাড়িতে প্রদর্শন করবেন।
এ ছাড়া কন্ডাকটর লাইসেন্স ছাড়া কন্ডাকটর নিয়োগ করা যাবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আগে এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল চার মাসের কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড। লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে অনধিক ছয় মাসের জেল বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালালে ছয় মাসের জেল বা অনধিক ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
এছাড়া নতুন আইনে শিক্ষানবিশ লাইসেন্স ছাড়া কর্তৃপক্ষের দেওয়া যে কোনো লাইসেন্সের বিপরীতে ১২ পয়েন্ট দেওয়া থাকবে। অপরাধ করলে তা কাটা যাবে। লালবাতি অমান্য, ওভারটেক, গতিসীমা অমান্য, বিপরীত দিক থেকে গাড়ি চালানো, ওজনসীমা লঙ্ঘন, নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালালে পয়েন্ট কাটা যাবে চালকের। এ বিধান আগে ছিল না।