নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৪৬০ জন: স্বাস্থ্য অধিদফতর

mosquito

শনিবার সারাদেশে ডেঙ্গুতে নতুন করে ১ হাজার ৪৬০ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৬২১ জন এবং বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ৮৩৯ জন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ৫১ হাজার ৪৭৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৫৮০ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখন ৭ হাজার ৮৫৬ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। রাজধানীর ৪১ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৪ হাজার ৪৩ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৮১৩ জন ভর্তি আছেন।

রাজধানীর ঢাকা শিশু হাসপাতালে শুক্রবার মধ্যরাতে আয়াজুর রহমান নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় তার বাসা। শনিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মনোয়ারা বেগম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার চমকপুর গ্রামে।

এছাড়া ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সুমন বাসার রাজু নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি মাগুড়া জেলার চাঁদপুর গ্রামে। রাজু মাগুড়া সত্যজিৎ কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন। তার বাবা মিজানুর রহমান জানান, ৭ আগস্ট রাজুর জ্বর হলে তাকে মাগুরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১২ আগস্ট ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩৪ জনে দাঁড়াল।

ঢাকা বিভাগঃ ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলায় ৮৬ জন, গাজীপুরে ৪৩ জন, মুন্সিগঞ্জে ২৯ জন, কিশোরগঞ্জে ১৩১ জন, নারায়নগঞ্জে ৩৫ জন, গোপালগঞ্জে ৩৪ জন, মাদারিপুরে ৬৪ জন, মানিকগঞ্জে ১২৭ জন, নরসিংদীতে ৬২ জন, রাজবাড়ী ৩৮ জন, শরীয়তপুরে ৬০ জন, টাঙ্গাইলে ৮১ জন, ফরিদপুরে ৪১ জনসহ মোট ৮৩১ জন ভর্তি আছে। এ বিভাগে ৪ হাজার ৯২৯জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৯৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগঃ চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় ১৮২ জন, ফেনী ৯৫, কুমিল্লায় ১৪২ জন, চাঁদপুর ১২০ জন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া ৫৭ জন, নোয়াখালী ৭৩ জন, কপবাজার ৪০ জন, লক্ষ্মীপুর ৫২ জন, খাগড়াছড়ি ২০ জন, রাঙামাটি ৬ জন এবং বান্দরবানে ২ জনসহ মোট ৭৮৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ বিভাগে মোট ৩ হাজার ৭৯৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৪ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

খুলনা বিভাগঃ খুলনা জেলায় ২১১ জন, কুষ্টিয়া ৬০ জন, মাগুরা ২৬ জন, নড়াইল ৪৫ জন, যশোর ১৭৬ জন, ঝিনাইদহ ৩৪ জন, বাগেরহাট ১২ জন, সাতক্ষীরা ৪৪ জন, চুয়াডাঙ্গা ১০ জন ও মেহেরপুরে ১৯ জনসহ মোট ৬৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ বিভাগে ২ হাজার ৮১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ১৮১ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

রাজশাহী বিভাগঃ রাজশাহী জেলায় ৬৫ জন, বগুড়া ১৪২ জন, পাবনা ৬৬ জন, সিরাজগঞ্জ ৭০ জন, নওগা ১৭ জন, চাপাইনবাবগঞ্জ ৩৭ জন, নাটোর ১৬ জন ও জয়পুরহাটে ৪ জনসহ মোট ৪১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিভাগে ২ হাজার ২০১ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৪ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

রংপুর বিভাগঃ রংপুর জেলায় ১৩০ জন, লালমনিরহাট ৯ জন, কুড়িগ্রাম ২০ জন, গাইবান্ধা ১১ জন, নীলফামারি ১৩ জন, দিনাজপুর ৬২ জন, পঞ্চগড় ৪ জন ও ঠাকুরগাঁও ২৫ জনসহ মোট ২৭৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিভাগে ১ হাজার ২৯৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২০ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

বরিশাল বিভাগঃ বরিশাল জেলায় ৩৬৬ জন, পটুয়াখালী ৬৫ জন, ভোলা ৩৫ জন, পিরোজপুর ৫২ জন, ঝালকাঠি ১১ জন, বরগুনা ৩০ জনসহ মোট ৫২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিভাগে ২ হাজার ৪২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৮৯৮ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

Pin It