আগে থেকে চলে আশা প্রক্রিয়ায় নন ক্যাডার পদে নিয়োগ সম্পন্ন করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মৌন মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীরা। এ সময় নন ক্যাডার নিয়োগে নতুন পদ্ধতি চালুর প্রতিবাদও করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় নন ক্যাডার পদে নিয়োগের দাবিতে চলমান ছয় দফা দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তারা।
নন ক্যাডার পদ প্রত্যাশী নোমান আল মুক্তাদির এর সঞ্চালনায় মো. নুরুল আমীন ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন। ২০ মিনিটের মৌন মানববন্ধন শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মো. সজিব হোসেন বলেন, কর্ম কমিশনের মতো আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠানের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে আমরা স্তব্ধ ও বাকরুদ্ধ হয়েছি। এজন্যই এ মৌন মানববন্ধন। পূর্বে থেকে চলমান প্রক্রিয়ায় বিসিএস উত্তীর্ণ নন ক্যাডার প্রার্থীদের সুপারিশ করার দাবি জানাচ্ছি। নন ক্যাডার নিয়োগে পূর্বের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করলে ৪০ থেকে ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
সমাবেশে নন ক্যাডার সুপারিশ প্রত্যাশী সাবরিনা আক্তার বলেন, চাকরি প্রার্থীরা রাষ্ট্র, সরকার কিংবা কর্ম কমিশনের প্রতিপক্ষ নয়। যে প্রক্রিয়ায় নন ক্যাডার নিয়োগ হয়ে আসছে সে ধারাবাহিকতাই অব্যাহত থাকুক। প্রয়োজন হলে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শতভাগ প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করুন। দয়া করে অযৌক্তিক কোনো নীতিমালা চাপিয়ে দিয়ে মেধাবিদের বঞ্চিত করবেন না।
এক বিসিএস এর নন ক্যাডার পদ চার বিসিএসে ভাগাভাগি এবং ৪৫ বিসিএস এর জন্য পদ সংরক্ষণ অযৌক্তিক দাবি করে সাবরিনা বলেন, একটা বিসিএস এর জন্য নন ক্যাডার পদ সংরক্ষণ করলে তা পূরণ হতে প্রায় তিন বছর সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাবে। এতে দাপ্তরিক জটিলতা বাড়ারে সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরে অস্থায়ী ও সাময়িক নিয়োগের প্রবণতা বাড়বে। এর ফলে চাকরির জন্য দুর্নীতি অনেক গুণে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নন ক্যাডার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্বে থেকে চলমান প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন পদ্ধতি চালুর প্রতিবাদে গত ১৬ অক্টোবর রাজু ভাস্কর্য থেকে ছয় দফা কর্মসূচি ও পাঁচ কর্ম দিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছে প্রত্যাশীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।