তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার সাংবাদিক-কর্মচারীদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনায় নতুন মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হবে। ওয়েজবোর্ডের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন যাতে হয়, সেক্ষেত্রেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ডিআরইউ আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেলেও আরও কিছু ধাপ বাকি আছে। নতুনভাবে মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক করতে চিন্তা-ভাবনা করেছিলাম। এজন্য বিগত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু সরকার গঠিত হওয়ায় আগের কমিটি দিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। যে কারণে আজ ওই কমিটির সভা রাখা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে নতুনভাবে মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হবে। এরপর নতুন মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হবে। ২৩ জানুয়ারি সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং পরে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে যত দ্রুত সম্ভব ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে কাজ করব। আবার ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা হলেও অনেক সময় বাস্তবায়ন হয় না। সেটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন যাতে হয়, সেটিও সরকারের পক্ষ থেকে দেখভাল করা হবে। নবম ওয়েজবোর্ডে টেলিভিশন সাংবাদিকরা অন্তর্ভূক্ত হবেন না-কি তাদের জন্য নতুন নীতিমালা ও ওয়েজবোর্ড করা হবে- সেটিও সংশ্নিষ্ট সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে গণমাধ্যমের উদ্বেগ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এই আইন সাংবাদিকদের জন্য নয়। সারাদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য। সাংবাদিকদের মধ্যে এ বিষয় নিয়ে যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে তা দূর করার চেষ্টা করব।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি, আমি এখনই বলতে পারব না, যে কতদিনের মধ্যে এই মামলার বিচার শেষ হবে। তবে আমি সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি কোন জায়গায় আটকে আছে- তা খুঁজে বের করে যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করবো।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য অনলাইন নীতিমালা হয়েছে। সম্প্রচার আইন হয়ে গেলে এগুলোকেও নিবন্ধন দেওয়া যাবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে আরো যুগোপযোগী করার পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাইরে বিটিভির জন্য চট্টগ্রামে সম্প্রচার কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আমাদের ইচ্ছে আছে বাকি বিভাগীযয় শহরগুলোতেও সম্প্রচার কেন্দ্র স্থাপন করার। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আগের তুলনায় যেন আরও বেশি কার্যকর ও দর্শকপ্রিয় হয়, সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করছি।
সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির পরাজয়ের কারণ হচ্ছে জনগণের স্বার্থের বদলে নিজেদের স্বার্থ নিয়ে আন্দোলন করা এবং মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা না পাওয়া।
ডিআরইউ সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান।