নরসিংদীতে হাড়িধোয়া নদী দখল ও দূষণ রোধে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের সোনাতলা এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন নরসিংদী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান কাউছার।
উচ্ছেদ করা অবৈধ স্থাপনাগুলোর মধ্যে ছিল দুটি টিন শেড ঘর, একটি দোতলা বিল্ডিং এর একাংশ, একটি একতলা বিল্ডিং এর একাংশ, একটি দোকান এর একাংশ ও একটি বরফ কারখানার সিঁড়ি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান কাউছার জানান, হাড়িধোয়া নদী তীর দখল ও দূষণ রোধে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে নদীর জায়গা উদ্ধার করতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। সকাল ১০টায় চিনিশপুর ইউনিয়নের সোনাতলা এলাকার ত্রিমোহনী বটতলা (পুটিয়া ব্রিজ সংলগ্ন) থেকে নদীর পাড়ে এক কিলোমিটার সীমানায় নির্মিত স্থাপনা ও নির্মাণাধীন অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হয়। সেখানে ৬ জন ব্যক্তি নদীর ওই জায়গাগুলো অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন। তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে একাধিক চিঠি দিলেও তারা স্থাপনা সরিয়ে নেননি। তাই এ উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে নদীর জায়গাগুলো অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করে সরকারের দখলে আনা হয়।
এদিকে দুপুরে মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী মাটি বিধিবহির্ভূতভাবে অপসারণের অভিযোগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মারুফ দস্তেগীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি নদীর তলদেশে মাটি ভরাট করে কৃষিকাজ চলমান রয়েছে দেখতে পান। একই এলাকার অনত্র নদী খননের মাটি দিয়ে অনেকেই নদী ও নদীর তীর দখল করে বিভিন্ন প্রকারের শস্য, কলাবাগান ও কাঠের বাগান সৃজন করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ দস্তেগীর নদী সংরক্ষণের নিমিত্ত নদীর স্থায়ী সীমানা নির্ধারণ করার উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে নির্দেশনা প্রদান করেন। একই সঙ্গে নদীর মাটি কাটার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে একটি এস্কেভেটর জব্দ করা হয়।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খান জানান, সরকারি জমিসহ নদী রক্ষায় প্রশাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।