মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুটা মেনে নিতে পারেননি তার বেশিরভাগ ভক্ত। মেনে নিতে পারেনি সুর আর ছন্দের জাদুকরের অকাল প্রয়াণ।
আরাফাত শান্ত লিখেছেন মাইকেল জ্যাকসনের এই হঠাৎ চলে যাওয়া নিয়ে যা মানতে নারাজ এখনও এই বিশ্ববাসী।
সেদিন ছিল তারিখ ২৫ জুন। আজ থেকে এগারো বছর আগে। হঠাৎ করেই সুদূর আমেরিকা থেকে খবর এল তিনি নেই! যাকে বহুবার সম্বোধন করা হয়েছে পপ সম্রাট নামে। সেই পপ সাম্রাজ্যের অধিপতি মাইকেল জ্যাকসন আর নেই! মৃত্যু হয়েছে তাঁর? কিন্তু মাইকেলের কি মৃত্যু হতে পারে? জ্যাকসন যুগের কি অবসান হতে পারে?
ঠিক এগারোটা বছর পার হয়ে গেছে, তবুও সেই প্রশ্ন ভক্তদের মনে। আর সেই অনুরাগীদের কাছে রয়েছে উত্তরও। এক কথায় এ যুগের অবসান সম্ভব নয়৷ মাইকেল জ্যাকসনের সাম্রাজ্যের অবসান সম্ভব নয়৷ ‘মুনওয়াক’ তো অমর! মাইকেল জ্যাকসন মরতে পারে না।মাইকেল ভক্তদের বিশ্বাস এখনও বেঁচে আছেন তিনি। খ্যাতি আর সাফল্যের মায়াজালে তিনি নিঃসঙ্গ অনুভব করছেন বলেই এ জীবন থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। ছদ্মবেশে ঘুরছেন দেশ থেকে দেশে। এগুলো মোটেই বানানো কথা নয়। বিশ্বের অধিকাংশ মাইকেল ভক্তের মতে তিনি এখনও বেঁচে আছেন। শুধু লোকচোখের অন্তরালে যেতেই তার মৃত্যুর খবর ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকে তো দাবি করেই বসেছেন, তিনি মৃত্যুর পরও কোথায়, কবে উপস্থিত ছিলেন।
মাইকেলের পুরো জীবনটাই যেমন গিয়েছে হাজারও গুঞ্জনকে ঘিরে। মৃত্যুর পরেও সেই গুঞ্জনের হাত থেকে নিষ্কৃতি নেই। মাইকেলের মৃত্যুর পর মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবামের বিক্রয়ের শীর্ষ থাকা আর বছরজুড়ে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সংখ্যায় চোখ কপালে উঠেছে অনেকের ।‘কিং অফ পপ’ নামে দুনিয়াজুড়ে পরিচিত লাভ করা মার্কিন সংগীত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের আচমকা মৃত্যুর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে করা হয়। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক বোধ হয় কোনো দিনই শেষ হবে না।
১৯৮২ সালে প্রকাশিত হওয়া মাইকেল জ্যাকসনের ষষ্ঠ একক অ্যালবাম ‘থ্রিলার’ বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। সেসময় থেকেই তাঁকে ‘কিং অব পপ’ বলা শুরু হয়। দীর্ঘসময় ধরে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যবসাসফল গানের অ্যালবামের স্থানটি দখল করেছিল ‘থ্রিলার’। তাঁকে বলা হত সর্বপ্রথম কৃষ্ণাঙ্গ তারকা, যিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন।মানুষের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা সেসময়কার উদীয়মান আফ্রিকান-আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে দারুণ অনুপ্রেরণা তৈরি করেছিল।
কেইন ওয়েস্ট, উইকেন্ড’এর মতো এখনকার অনেক জনপ্রিয় কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পীই বলেছেন তাঁরা মাইকেল জ্যাকসন দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।