না ফেরার দেশে প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান

370145772_10231709314505748_8237478439246852741_n

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক ধর্মমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন

রোববার (২৭ আগস্ট) রাত পৌনে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ময়মনসিংহের নেক্সাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

মৃত্যুর আগে মতিউর রহমানের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে এ রাজনৈতিকের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। তারা বলেছে, সাবেক মন্ত্রীর ছেলে ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন।

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মী, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ হাসপাতালের সামনে ভিড় জমায়। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ‍্যে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে একুশে পদক পান। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রভাগের বীর সেনানী ছিলেন এই নেতা। ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের নেতা। হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন তিনি।

প্রবীণ এই সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন।

বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অবিচল থেকে পথ চলতে অভ্যস্ত এ প্রবীণ রাজনৈতিক আকুয়া মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে ১৯৫৩ সনে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। এ সময় তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করেন। ১৯৫৪ সনে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। এরপর তিনি নকলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত ময়মনসিংহের মৃত্যুঞ্জয় স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৫৮ সনে মেট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সনে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

১৯৬৪ সনে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ সময় তিনি গফরগাঁও থানার পাঁচবাগ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মনোহরদি হাতিরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএসসি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সনে এমএসসি সম্পন্ন করেন। তারপর তিনি জামালপুর জেলার নান্দিনা কলেজ এবং ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। এরপর তিনি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ময়মনসিংহ কলেজেও শিক্ষকতা করেন।

Pin It