নিবন্ধন ছাড়া আমদানিসহ লবণের কারবারের জন্য কারাদণ্ডের বিধান রেখে আইনের খসড়ায় সায় দিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিফ্রিং এ বলেন, “নিবন্ধন ব্যতীত কেউ লবণ আমদানি, গুদামজাত, ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন বা আয়োডিনযুক্ত কারখানা পরিচালনা করে অথবা এর গুণগত মান নিশ্চিত না হয় তাহলে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হবে বা অর্থদণ্ডের বিষয় এ আইনের ৪২ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে।
“সেখানে অনধিক এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে একসাথে। এটি মোবাইল কোর্ট আইনে অন্তভুক্ত করা হবে।”
আইনটির মধ্যে ১৩টি অধ্যায় ও ৫১টি ধারা আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এর মূল বিষয়গুলো হচ্ছে, একটি জাতীয় লবণ কমিটি হবে এবং তারা লবনের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুদ, বিক্রয়, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, লবণ কারখানার জন্য আয়োডিন সরবরাহ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা নীতির বিষয়ে সুপারিশ প্রনয়ন করবে।
তিনি বলেন, ১৪ সদস্যের জাতীয় লবণ কমিটিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব সভাপতি ও বিসিক চেয়ারম্যান সদস্য সচিব হবেন। এই কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেল কার্যক্রমগুলো নজরদারি করবে।
“জাতীয় মানমাত্রা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত আয়োডিনযুক্ত লব্ন উৎপাদনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ থেকে ৫০ পিপিএম এবং খুচরা পর্যায়ে ২০ থেকে ৫০ পিপিএম মাত্রার আয়োডিন থাকতে হবে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার জাতীয় লবণ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লবণ পরিশোধানাগার আয়োডিনযুক্তকারী কারখানার জন্য আয়োডিনের সরবরাহ নিশ্চিত করবে। বিসিক লবনের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উৎপাদনে বিজ্ঞাপন ভিত্তিক কৌশল প্রয়োগ নিরাপদ উৎপাদন পরিশোধন ও অন্যান্য বিষয়ে লবণ উৎপাদনকারী ও পরিশোধনকারীদের প্রয়োজনীয় স্কিল ডেভলপমেন্টর ব্যবস্থা করবে।”
কোনো ব্যক্তি কোনো প্রকার লবণ আমদানি, লবণ উৎপাদন ও গুদামজাত ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ প্রক্রিয়াজাত করণ পরিশোধন বা আয়োডিনযুক্ত কারখানা স্থাপন বা অন্য কোন লবণ কারখানা স্থাপন ও পরিচালনা করতে চাইলে তাকে এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
“সরকার প্রয়োজনে লবণ গবেষণা ইন্সটিটিউট করতে পারবে। লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যে জোনটাতে লবণ সহজে উৎপাদন করা যায় সেখানে শিল্পাঞ্চল করার ধারা এ আইনে দেওয়া আছে।”