ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হচ্ছে নিরাপত্তা চৌকি। ভোটারদের নিরাপত্তা আর ভোটদান নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার মিলে অর্ধলক্ষাধিক সদস্য নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে।
যান চলাচল ও বহিরাগতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। সিটি নির্বাচনে জনস্বার্থে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিকদের সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাফেরা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইসির নির্দেশে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
নির্বাচনে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যরা যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এক পরিপত্র জারি করে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে এমন নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আলোচনা করে পরিপত্র জারি করে মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে- ঢাকার দুই সিটি ভোটের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিতে প্রতি কেন্দ্রে দু’জন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। তবে তারা কোনো ধরনের অস্ত্র, গোলা-বারুদ বহন করবেন না। কিন্তু তারা ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন এবং দায়িত্ব পালনকালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট প্রদান যথাযথভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা দেবেন। ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য সবার নিরাপত্তা, ইভিএমের নিরাপত্তা বিধান ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সার্বিক ব্যবস্থা নেবে ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নির্দেশনাটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।
ইতোমধ্যেই ভোটকেন্দ্রগুলো ও তার আশপাশের এলাকার ওপর নজরদারি শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। কেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে ও তার আশপাশে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বসানো হয়েছে কন্ট্রোলরুম।
১ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল আটটা থেকে নিয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।





